নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এসব দাবি আদায়ে দুই মাসের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা।
মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কার্যালয়ের মৈত্রী মিলনায়তনে জোটের সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি ও আন্দোলনের কর্মসূচি তুলে ধরা হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, সহসাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী, সিপিবির সহসাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ প্রমুখ।
জোটের অন্য দাবিগুলো হলো- নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ ভেঙে দেওয়া, অগণতান্ত্রিক সংশোধনী ও কালাকানুন বাতিল; রাষ্ট্রীয় দমনপীড়ন, গুম-খুন ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশ-মাস্তানদের হস্তক্ষেপ বন্ধ; চাল-আটাসহ ৯টি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বেসরকারি বাণিজ্য বন্ধ, রেশনিং চালু ও দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ, মজুরি কমিশন গঠনসহ নূ্যনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ। এ ছাড়া সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ; শিক্ষা-স্বাস্থ্য নিয়ে ব্যবসা বন্ধ, জাতীয় সম্পদের ওপর জনগণের শতভাগ মালিকানা নিশ্চিত করা; যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশিদের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক জনসম্মুখে প্রকাশ এবং দেশের স্বার্থবিরোধী সব অসম চুক্তি বাতিলের দাবিও জানায় বাম গণতান্ত্রিক জোট।
এসব দাবি আদায়ে জোট ঘোষিত কর্মসূচিতে রয়েছে অক্টোবর-নভেম্বরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সংগঠন ও ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময়, ২২ অক্টোবর ঢাকাসহ দেশব্যাপী গণপদযাত্রা এবং নভেম্বর মাসজুড়ে বিভাগীয় শহরসহ বিভিন্ন জেলায় জনসভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ। এর আগে ১৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টায় মৈত্রী মিলনায়তনে ‘সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিসহ নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কার :সুষ্ঠু নির্বাচন ও নির্দলীয় তদারকি সরকার’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা হবে।
লিখিত বক্তব্যে জোটের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বেগবান করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশ আজ সর্বগ্রাসী সংকটে নিমজ্জিত। সরকার উন্নয়নের ঢাকঢোল পেটালেও মানুষের বেঁচে থাকা দুরূহ হয়ে পড়েছে।