ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেশি থাকায় হুমকিতে পড়েছে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতি। তেলের আমদানি ব্যয় মেটাতে গিয়ে ফরেন রিজার্ভ ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। তবে যুদ্ধের প্রথম থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় কম দামে তেল বিক্রি করছিল রাশিয়া। আর সেই সুযোগ নেয় চীন ও ভারত। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে মিয়ানমারও। দেশটির সামরিক সরকার এরইমধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে।সিএনএন জানিয়েছে, বৈশ্বিক জ্বালানী সংকট থেকে নিজেদের বাঁচাতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিয়ানমার। দেশটির সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, জ্বালানীর সবরাহ নিয়ে উদ্বেগ এবং উচ্চ মূল্যের কারণে রাশিয়া থেকে গ্যাস ও তেল আমদানি করতে যাচ্ছে মিয়ানমার। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি পশ্চিমা বিশ্ব থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন থাকলেও, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রয়েছে। রাশিয়া ও মিয়ানমার উভয়ের বিরুদ্ধেই ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা আছে। গত বছর সামরিক অভ্যুত্থান চালিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।