থানায় লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে মাহবুবুল হক ও আবু হানিফের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধকৃত সম্পত্তি নিয়ে ইতোপূর্বে স্থানীয়ভাবে একাধিক শালিশী বৈঠক হলেও কোন নিষ্পত্তি না হওয়ায় মাহবুবুল হক সাঁথিয়া থানায় একটি অভিযোগ দেন। এ প্রেক্ষিতে থানায়ও একাধিক শালিশ হয়। সর্বশেষ গত শুক্রবার (১০ মার্চ) উভয়পক্ষের আইনজীবী ও স্থানীয় প্রধানবর্গের উপস্থিতিতে সাঁথিয়া থানায় শালিশী বৈঠকে বসে। হানিফ পক্ষের ওয়ারিশগণ উপযুক্ত প্রমাণাদি দেখাতে না পারায় আগামী ২০ এপ্রিল পূনরায় শালিশী বৈঠকের দিন ধার্য হয়। এরই জের ধরে শনিবার সকালে বিরোধকৃত ভূমিতে থাকা মাহবুব আলমের দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করে প্রতিপক্ষের লোকেরা। এ সময় হামলাকারীরা মাহবুব আলমকে মারধোর করে ও তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। মাহবুবুল আলম জানান, তাদের নামীয় পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি হইতে প্রতিপক্ষরা পুকুর থেকে মাছ লুট, গাছপালা কর্তন ও ফসলী সম্পত্তি জবর দখল করে রেখেছে। ভাংচুরকৃত দোকানপাটের জায়গা তাদের ৪ ভাইয়ের নামে ক্রয় করা। ভুলক্রমে বড় ভাই আব্দুল বারি খানের নামে আরএস রেকর্ড হয়। এ ব্যাপারে রেকর্ড সংশোধনের জন্য আদালতে মামলা চলমান। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তারিকুল বারি খান জানান, আমার বাবার রেকর্ডকৃত সম্পত্তি আমি ক্রয় করে খারিজ করেছি। ওটাকে মেরামত করা জন্য ভাংচুর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।