রেদোয়ান হাসান সাভার,ঢাকা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি নাজমুল হুদা এবার নিজেই বসাতে চান গরু ছাগলের হাট। এমন আবদার জানিয়ে তিনি সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন।তার এই উদ্যোগে স্তম্ভিত পেশাদার ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।কত টাকার মালিক হলে একটি পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি এভাবে হাট বসানোর উদ্যোগ নিতে পারেন- এমন গুঞ্জন-ও চলছে বিভিন্ন মহলে।সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) মোঃ মাজহারুল ইসলাম নাজমুল হুদার হাট বসানোর আবেদন প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আমার কর্মজীবনে এটা এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা। কোন সাংবাদিক গরু ছাগলের হাটের জন্যে আবদেন করেছে- এটাও প্রথম শুলনাম এবং দেখলাম।নাজমুল হুদা একই সাথে নিউজটোয়েন্টিফোর নামের বেসরকারি চ্যানেলের-ও প্রতিনিধি।আশুলিয়া গরুর হাটের ইজারাদার ফরিদুজ্জামান অভিযোগ করে জানান, আগের ইজারা যেখানে ছিলো মাত্র ১৩ লাখ টাকা সেখানে আমরা সরকারি স্বার্থ সুরক্ষা করে হাট নিয়েছি ১ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার টাকায়। সাভারে সরকারি রাজস্ব আদায়ে যা ইতিহাসে নজিরবিহীন।এর পর থেকেই আগের ইজারাদারদের পক্ষ থেকে নাজমুল হুদা আমাদের হাটে এসে হাট নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণায় লিপ্ত হন। হাট নিয়ে সরাসরি লাইভ করে আমাদের হাটের সুনাম নষ্ট করার মিশনে নামেন তিনি।পরে সে রিপোর্ট করলে আমাদের আর্থিকভাবে মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে- এমন ভয় ভীতি দেখিয়ে প্রতি সপ্তাহের বুধবার ১০ হাজার টাকা করে দাবী করেন। এভাবে মাসে ৪০ হাজার টাকা দেয়া কোন মতেই সম্ভব নয় বলে জানালে তিনি আমাদের হাটের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগেন।সর্বশেষ গত ১৯ মে তিনি হাটে যান। সেদিন নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১২ হাজার টাকা নেন।এরপর থেকে নিজেই ব্যবসায়ি সেজে হাটের ইজারা চান বলে আমরা জানতে পেরেছি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গত ২৭ জুন তারিখে লেখা চিঠিতে নাজমুল হুদা আশুলিয়ার খেঁজুর বাগানে ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে অস্থায়ী গরু ও ছাগলের হাট বসানোর অনুরোধ করেন তিনি।এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক নাজমুল হুদা জানান,আমি গরুর হাটের ইজারা চাইতেই পারি।তাতে কার কি সমস্যা।তবে সাভারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, নাজমুল হুদার নিশ্চয়ই অনেক টাকা। না হলে তিনি গরুর হাট চাইবেন কেন? দেখতে হবে তিনি সরকারকে কতটাকা কর দেন। আদৌ দেন কি’না!আমরা ব্যবসায়ীরা এমনিতেই এই করোনাকালে ব্যবসা বানিজ্য নিয়ে নাজুক অবস্থায় আছি এর মধ্যে কালো টাকার মালিকরা যদি সাংবাদিক পরিচয়ে এভাবে ব্যবসা বানিজ্যে ঢুকে পরিবেশ নষ্ট করে তাহলে আমরা কার কাছে প্রতিকার চাইবো?সাভারের একজন গণমাধ্যম কর্মি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সাংবাদিকতা পেশার পরিচয় ভাঙিয়ে নাজমুল হুদা রাতারাতি বিপুল অর্থবিত্তের মালিক বনে গেছেন।রানা প্লাজা ধসের পর রাজ্জাক প্লাজার ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়ের সময় তিনি গণধোলাই খেয়েছেন।চাঁদাবাজী ও নাশকতার মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন জেল হাজত খাটলেও তার সুমতি হয়নি বলেও জানান তিনি।
৭ views