নিহত সাকিবের বাবা কাঞ্চন মিয়া বলেন, আমার ছেলে সাকিবকে হত্যার পর কয়েকজন গ্রেফতার হলেও এখনও অনেক আসামি ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। মরার আগে যেন ছেলের হত্যার বিচার দেখতে পারি। এ সময় হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে গেলে আসামির পক্ষ থেকে নানা ধরনের হুমকি পাচ্ছেন বলে তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও এ হত্যাকােণ্ডের বিচার দাবি করেছেন কাঞ্চন মিয়া।
নিহত সাকিবের বড় ভাই রাকিব মিয়া জানান, পিয়াস, ইমন, নাবিন, রাজুসহ অন্যরা মাত্র ছয় হাজার টাকার জন্য তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় পিয়াস, ইমন ও রাজু গ্রেফতার হলেও পরবর্তীতে রাজু হাইকোর্ট থেকে জামিনে বেড়িয়ে এসেছেন। কিন্তু নাবিনসহ অন্যান্য আসামিদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। নাবিনের পরিবার থেকে তাদের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিচার চাওয়ায় আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অবিলম্বে আমরা তাদের গ্রেফতার ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি।
এসব ব্যাপারে কথা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোখলেছুর রহমান বলেন, কলেজ শিক্ষার্থী সাকিব হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, নিহত সাকিব ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার এলাকায় মিরপুর মফিদিয়াম স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। চলতি বছর মার্চের ১৭ তারিখ তিনি নিখোঁজ হন। এ ঘটনার ১০ দিন পর গত ২৬ মার্চ সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের একটি নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মরদেহ উদ্ধারের পরদিন ২৭ মার্চ সাকিবের ভাই রাকিব মিয়া সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে আসামি করা হয় সাকিবের বন্ধু আব্দুর রহমান (১৮), পিয়াস (১৮), মো. ইমন (১৮, নাবিনসহ (১৮) অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পিয়াসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে সাকিবের অপর বন্ধু ইমনসহ দুজনকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিন (র্যাব)।