1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন

সাতক্ষীরার মান্দারবাড়িয়া অজানা অপূর্ব সমুদ্র সৈকত

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২

আমাদের দেশে যে মান্দারবাড়িয়া নামে একটি সমুদ্র সৈকত আছে তা অনেক পর্যটকদেরই অজানা। এই সৈকতের কথা খুব কম মানুষ জানে বলেই এখানে বিরাজ করে নিরবচ্ছিন্ন নির্জনতা আর প্রকৃতির আদিম সৌন্দর্য। যারা নিস্তব্ধতার বুকে নিজের মত করে দিগন্তজোড়া সুনীল সাগরের বিশালতা, অস্তগামী সূর্যের রূপ আর আরণ্যক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান তাদের জন্য আদর্শ ভ্রমণ গন্তব্য এই মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত।সাতক্ষীরা জেলার হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর তীরে মান্দারবাড়িয়ায় বন আর এই বনের সামনে বঙ্গোপসাগরের তীরজুড়ে অপরূপ এই সমুদ্র সৈকত মান্দারবাড়িয়া। সাতক্ষীরার বুড়িগোয়ালিনীর নীলডুমুর নৌঘাট থেকে এই সৈকতের দূরত্ব আনুমানিক ৭৫ কিলোমিটার। প্রকৃতির এক অপার সৃষ্টি এই সমুদ্র সৈকতটি অন্যান্য সৈকত থেকে একেবারেই আলাদা। প্রায় ৮ কিলোমিটার লম্বা ভিন্ন সৌন্দর্যের এই সৈকতটির সর্বত্রই সৌন্দর্যের ছড়াছড়ি। এই সৈকতের একদিকে সুন্দরবন অপরদিকে বঙ্গোপসাগরের মায়াবী জলরাশির অবিশ্রান্ত গর্জন আপনাকে মুগ্ধতার জালে বাঁধবে অবিরাম।এই সৈকতটি আপনাকে যতটা না মুগ্ধ করবে তার চেয়ে বেশি মুগ্ধ করবে এখানে পৌঁছানোর পথ। নীলডুমুর ঘাট থেকে যাত্রা শুরু করে খোলপেটুয়া-কপোতাক্ষ নদের সঙ্গমস্থলের পাশ কাটিয়ে কলাগাছিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, মালঞ্চ নদী হয়ে পৌঁছতে হবে মান্দারবাড়িয়ায়। এই ৭৫-৮০ কিলোমিটার পথের পুরাটাই সুন্দরবনের বুক চিরে যাওয়া বিভিন্ন নদী। এই নদীগুলোর উভয় পাশেই দেখতে পাবেন চিরহরিৎ সুন্দরবনকে। এই সবুজের সমারোহে চোখ জুড়িয়ে যাবে। সুন্দরী, কেওড়া, বাইন, পশুর, গরান, গোলপাতা, সিংড়া, হেতাল, খলসী, গেওয়া গাছের সম্মিলনে এখানে ঘটেছে সবুজের মিলনমেলা।ম্যানগ্রোভ ফরেষ্টের শ্বাসমূল আর তাতে হরিণ সহ নানা প্রাণীর ছুটে চলায় এই পুরো পথটি দারুণ এ্যাডভেঞ্চারময়। পানকৌড়ি আর বালিহাঁসের উড়ে যাওয়া দেখতে দেখতে কখন যে পৌঁছে যাবেন মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে টেরই পাবেন না। পেছনে বাঘের ভয় আর সামনে মায়ার হাতছানি দেয়া সমুদ্র, বিস্তীর্ণ সৈকত, সবুজ রহস্যে ঘেরা বন আপনার সম্মোহনকে আরো ঘনিয়ে তুলবে। সৈকতের বুকে হরিণ আর বাঘের পায়ের চাপ দেখে মনে হবে এই বুঝি সামনে বাঘ এসে হাজির হয়। এই ভয়টাই এডভেঞ্চারের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে কয়েকগুণ। অনাবিষ্কৃত বিস্তীর্ণ বেলাভূমি আর প্রকৃতির বুনো সৌন্দর্যে নিজেকে হারাতে তাই ঘুরে আসুন মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত থেকে।

যেভাবে যাবেন : সাতক্ষীরা সদর থেকে বুড়িগোয়ালীনির দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার। সহজে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যাবে বুড়িগোয়ালিনীর নীলডুমুরস্থ নৌঘাট থেকে। ইঞ্জিন চালিত নৌকা, স্টিমার বোটে করে শীত মৌসুমে (অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) সময়ে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যাবে। স্টিমার বা ইঞ্জিন চালিত নৌকা করে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৬-৭ ঘণ্টা। স্পিড বোট যোগে বুড়িগোয়ালিনীর নীলডুমুর থেকে মান্দারবাড়িয়া পৌঁছাতে সময় লাগবে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। শীত ছাড়া অন্য সময়ে গেলে আবহাওয়ার তথ্য জেনে তারপর রওনা হবেন।
যেখানে থাকবেন : মান্দারবাড়িয়ায় থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই আপনাকে থাকতে হবে সাতক্ষীরার কোনো হোটেলে কিংবা শ্যামনগর রেস্ট হাউজে। সাতক্ষীরার কিছু ভাল মানের আবাসিক হোটেল ও কটেজ হল : ১) হোটেল সংগ্রাম (ইটাগাছা)। ২) হোটেল সম্রাট (পলাশপো। ৩) হোটেল সীমান্ত (পলাশপোল)। ৪) মোজাফফর গার্ডেন (খড়ি বিলা)। ৫) হোটেল মোহনা (ঢাকা স্ট্যান্ড)। ৬) হোটেল উত্তরা।

Facebook Comments
১১ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি