মাইদুল ইসলাম,জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে রাস্তার গাছ চুরির অপকৌশল নিতে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভূয়া রেজুলেশন তৈরি। মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে পাল্টা মিথ্যা অভিযোগ করে ফাসানোর অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে মর্মে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের অভিযোগ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দামোদরপুর গ্রামের সেকেন্দার মন্ডলের বাড়ী হতে আজগর মিয়ার বাড়ীর সামন পর্যন্ত রাস্তায় ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় কিছু সংখ্যক ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানো হয়। গাছগুলো মূল্যবান সম্পদে পরিনত হতেই গত ৩০-০৩-২০২২ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ১০ টায় ইউনিয়নের পশ্চিম দামোদরপুর গ্রামের মৃত. রশিদ ভাটিয়ার পুত্র ছামছুল মিয়া,ছামছুল মিয়ার পুত্র সবুজ মিয়া,কিশামত দশলিয়া গ্রামের মৃত. ফজলার রহমানের পুত্র জনাব আলী,জনাব আলীর পুত্র সুমন মিয়া পরস্পর যোগসাজস পূর্বক এ রাস্তার ৪ টি গাছ চুরি করে কর্তন করেন। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১২ হাজার টাকা। গোপন খবরের ভিত্তিতে এ দিন বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টায় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সঙ্গীয় লোকজনসহ গাছ কর্তনের স্থান পরিদর্শন করেন।এর পর বটতলা নামক স্থানের জনৈক সেলিম মিয়ার ছ' মিল হতে গাছগুলো জব্দ করেন। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম গত ৩১-০৩-২০২২ ইং তারিখে ছামছুল মিয়াসহ ৪জনকে আসামী করে সাদুল্লাপুর থানায় মামলা (নং-৩৩) দায়ের করেন। এ নিয়ে এর আগের দিন তিনি সাদুল্লাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (নং-১৫৮৩) দায়ের করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের দাবী, প্রায় ১৫ বছর পূর্বে সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি নামে একটি সংগঠন এ রাস্তায় শতাধিক ইউক্যালিপটাস গাছ রোপন করেন।
গাছগুলো মূল্যবান সম্পদে পরিনত হতেই সমিতির কতিপয় সদস্য ও স্থানীয় জমির মালিক তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভূয়া রেজুলেশন তৈরি করেন। এরপর বনবিভাগ ও উপজেলা সমন্বয়ক কমিটির অনুমতি ছাড়া বিধি লংঘন করে গত ৩০-০৩-২০২২ ইং তারিখে ৪ টি গাছ কর্তন করেন। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। এ মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে আসামী জনাব আলী অনুমতি ছাড়াই ও নিরাপরাধ সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে গত ১২-০৪-২০২২ ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করে অযথা হয়রানি করে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে আসছেন।
অপর দিকে ঘটনার বিষয়বস্তু নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হওয়ায় অনেকেই বলছেন, ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম যদি রেজুলেশনে স্বাক্ষর করবেন তবে কি করে গাছগুলো জব্দ করাসহ তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করলেন? শুধু তাই নয় আসামীদের শাস্তির দাবীতে থানায় মামলাও করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, রেজুলেশনের বিষয়টি যদি সত্যিই হবে তবে ঘটনার ৭ দিন পর অভিযোগ করার রহস্যই বা কি? তবে এটি নির্বাচনী প্রতিহিংসা না অন্য কিছু?
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]