মি. বাজুমের ক্ষেত্রেও বিষয়টি অনেকটাই সত্যি। সাদামাটা পরিবার থেকে তিনি উঠে আসেন। ১৯৯০ এর দশকে রাজনীতিকে ঢোকার আগে তিনি একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন, তারপর জড়িত হন শ্রমিক রাজনীতিতে।
কিন্তু তারপরও জে. চিয়ানির সাথে মি. বাজুমের সম্পর্ক কখনই সহজ ছিলনা।
সাধারন একটি সৈনিক জীবন কাটালেও, জে. চিয়ানিকে এখন হঠাৎ করেই চরম এক রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক সংকট সামলানোর দায় হাতে নিতে হয়েছে। ইচ্ছা করেই তিনি নিয়েছেন।
এবং যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সেনাবাহিনীতে এতদিন তার পক্ষে কাজ করেছে সেগুলোই তিনি ধরে রয়েছেন: ধৈর্য, নিজের ভাবনা খুব স্পষ্ট প্রকাশ না করা এবং আপোষে রাজী না হওয়া।
তবে নিজেরে বহু মানুষের মধ্যে ফ্রান্স বিরোধী যে মনোভাব শক্তভাবে বিরাজমান সেটিকে জে. চিয়ানি এবং এবং সামরিক জান্তা খুব সুকৌশলে কাজ লাগাচ্ছেন। এই জনসমর্থনের পর ভর করে ইকোওয়াস জোটের সাথে টক্করেও সাহস দেখাচ্ছেন তারা।
তবে নাইজেরিয়া এবং পশ্চিম আফ্রিকার অন্য দেশের সাথে টক্কর দেওয়ার এই অভিলাষের কারণে নিজেরের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার চাপ অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় তাতে আরো বেড়ে যেতে পারে। এখন জনপ্রিয়তার জোয়ারে ভাসলেও তেমন পরিস্থিতি সামলানো জে. চিয়ানিকে কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলে দিতে পারে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]