রাকিবুল হাসান, গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি : গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ৫০ টি চিত্রা হরিণ প্রদান করেছে গ্রীণ ভিউ গলফ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। হরিণগুলোর মধ্যে ২২টি বড় এবং ২৮ টি ছোট হরিণ রয়েছে। ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) শারমিন আক্তার ৫০টি হরিণ গ্রহন করেন। রবিবার (১০ মার্চ) দুপুরে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে হরিণগুলো বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।
গ্রীণ ভিউ গলফ রিসোর্টের ভূমি উপদেষ্টা (ল্যান্ড অ্যাডভাইজার) বুলবুল ইসলাম জানান, গ্রীণ ভিউ গলফ রিসোর্টের সৌজন্য ৫০ টি হরিণ প্রদান করা হয়েছে। এতে অনেকে উৎসাহিত হবে। প্রদান করা করা হরিণগুলোর মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হরিণগুলো প্রদানের জন্য গেল বছরের ২৪ আগষ্ট বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তরে আবেদন করেছিলাম। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে হণি প্রদানের অনুমতি পেয়েছি। প্রায় একযুগেরও বেশি সময় থেকে গ্রীণ ভিউ গলফ রিসোর্ট সরকারি বিধি ও বিধান মেনে হরিণ পালন করে আসছে। সঠিক পরিচর্যা ও পরিবেশ অনূকুল থাকায় হরিণগুলো দ্রæত বংশ বৃদ্ধি করে। সাফারি পার্কের দর্শনার্থীর কথা চিন্তা করে ছোট-বড় ৫০ টি হরিণ ওই পার্কে প্রদান করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গ্রীণ ভিউ গলফ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফকির মনিজ্জামানের পক্ষে তার চার দৌহিত্র হরিণগুলো প্রদান করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, সাফারি পার্কে প্রাণী আবদ্ধ থাকে এবং ভিজিটররা উম্মুক্ত থাকে। হরিণগুলো একটি অংশের মধ্যে বিচরণ করে। রিসোর্টে থাকা অবস্থায় হরণিগুলো নির্দিষ্ট একটি বেষ্টনির মধ্যে ছিল। এখন হরিণগুলো উম্মুক্ত অবস্থায় থাকবে। এত করে প্রাণীগুলোর রোগবালাই কম হবে। হরিণগুলো প্রথমে সর্বনিম্ম ১৫ দিন কোয়ারেন্টাইনে শেডে রেখে দেখবো রোগবালাই আছে কি’না। তারপর সুষ্ঠ হলে আমরা কোয়ারেন্টাইন থেকে উম্মুক্ত পরিবেশে থাকলে রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকবে।
ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) শারমিন আক্তার বলেন, হরিণ দ্রæত প্রজনন ক্ষম প্রাণী। হরিণের বংশ বিস্তার বেশি। গ্রীণ ভিউ গলফ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ তাদেও পালিত হরিণগুলো কোথাও বিক্রি বা দান না করে সরকারের কাছে প্রদান করেছে। আমরা চাই, এটার অনুকরণে অন্য প্রতিষ্ঠান আগ্রহী হয়ে এগিয়ে আসুক। সাফারি পার্কে হরিণগুলো সবময় বিচরণ করবে, দর্শণার্থী, সর্ব সাধারণ এবং সর্ব পর্যায়ের দর্শকগণ দেখবে, উপভোগ করবে এটা তাদের জন্য যেমন সম্মানের আমাদের জন্যও তেমন সম্মানের। বিষয়টি চমৎকার উদ্যোগ। অন্যরা আগ্রহী হবে এবং অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। সত্যিই এ উদ্যোগটি খুবই প্রশংসনীয় এবং ভালো উদ্যোগ।