স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তান ক্রিকেটে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ বেশ পুরনো। প্রায়ই নানান ক্রিকেটারের মুখে শোনা যায়, ক্রিকেট বোর্ডের হর্তাকর্তাদের আত্মীয় বা প্রিয়দের প্রতি পক্ষপাতের কথা। তবে এবার নতুন অভিযোগ এনেছেন দেশটির সাবেক পেসার ইয়াসির আরাফাত। তার অভিযোগ সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়েই।
২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর থেকে পাঁচ বছরে মাত্র ৩ টেস্ট, ১১ ওয়ানডে ও ১৩ টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পেয়েছেন ইয়াসির। ২০১২ সালে মাত্র ৩০ বছরে বয়সে খেলে ফেলেন নিজের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তার মতে, টিম ম্যানেজম্যান্টের উদাসীনতার পাশাপাশি সাবেকদের অসহযোগিতার কারণে বড় হয়নি ক্যারিয়ার।
সাবেক সতীর্থ কামরান আকমলের সঙ্গে এক ইউটিউব আড্ডায় ইয়াসির বলেছেন, ‘তখন পাকিস্তান সিনিয়র দলটা মাত্রই অস্ট্রেলিয়া সফর করে এসেছে। দলে অনেক পরিবর্তন আনা হচ্ছিল। খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে তারা ৫-৬ খেলোয়াড়কে বাদ দিয়েছিল।’
‘এমনকি তখন অধিনায়কত্বও যেনো করছিলেন ওয়াসিম আকরাম (মূল অধিনায়ক ছিলেন সাঈদ আনোয়ার)। তখন দলের পরিবেশ বিশেষ করে সিনিয়র ক্রিকেটারদের দেখে মনে হতো, আপনি হয়তো দলে অনাহুত একজন। সেই পরিবেশে নিজেকে এলিয়েন মনে হতো আমার। ঐ অবস্থায় আপনি যদি পারফরম করতে চান, সেটা নিজেকে একাই করতে হবে, কোনো সহযোগিতা পাবেন না।’
যেই সিরিজের কথা বলেছেন ইয়াসির, সেই সফরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ০-৩ ব্যবধানে সিরিজ হেরে এসেছিল পাকিস্তান। পরে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে কিছু খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে তরুণদের সুযোগ দেয়া হয়। ইয়াসিরের মতে, সেই ধাক্কায় আব্দুল রাজ্জাক ও আজহার মাহমুদের মতো খেলোয়াড়দের বাদ দিয়ে স্বজনপ্রীতির কারণে অনভিজ্ঞ ছেলেদের নেয়া হয়েছিল।
তার ভাষ্য, ‘পাকিস্তান ক্রিকেটের কথা বললে, আব্দুল রাজ্জাক ও আজহার মাহমুদের মতো অলরাউন্ডার আমরা পাইনি। তারা যখন ছিল না, তখন কিছু ক্রিকেটারকে পক্ষপাতের ভিত্তিতে নেয়া হয়েছিল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একদমই খেলেনি কিংবা ১-২ ম্যাচ খেলেছে, এমন ক্রিকেটাদেরও সুযোগ দেয়া হয়েছিল। জানি না, আমি কেন তাদের সুনজরে ছিলাম না।’
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]