রেজিঃ নং ডিএ ৬০০৯ | বর্ষ ১৪ | ৪ পৃষ্ঠা ৩ টাকা || সোমবার | ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
সাভারে গৃহবধূর চোখ উপড়ে নিলো সতীন!
রেদোয়ান হাসান ,সাভার,ঢাকা: সাভার পৌরসভা এলাকায় এক পোশাক কারখানা থেকে বের হওয়ার সময় সুতা কাটার যন্ত্র (কাটার) দিয়ে বড় সতিন সালমা আক্তারের (৩২) এক চোখ উপড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছোটো সতিন নুর নেছার (৩১) বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (০৪ জানুয়ারি) রাতে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগী সালমা আক্তারকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেখা যায়। এর আগে, বৃহস্পতিবার (০৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সাভার ফায়ার সার্ভিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সালমা আক্তার বরিশাল হিজল থানার দুর্গাপুর গ্রামের মোতালেবের স্ত্রী। সে সাভারের গেন্ডা ছাপড়া মসজিদ এলাকায় আহম্মদ আলীর মালিকানা বাড়িতে ভাড়া থেকে আল মুসলিম নামের এক পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। অভিযুক্ত নুর নেছার বাড়ি রংপুর। সে সাভারের রাজাবাড়িতে থাকে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী সালমা আক্তার বলেন, মোতালেব এর সাথে আমার ১৮ বছর ধরে বিয়ে হয়েছে। আমি ১২ বছর ধরে সাভারে থেকে আল মুসলিমে চাকুরি করি৷ এরপর আমার স্বামী একদিন নুর নেছাকে বিয়ে করে৷ আমার স্বামীর পানের দোকান করে। আমরা তিনজনেই একই বাসায় থাকতাম এক সময়। মাঝখানে আমাদের ভেতরে ঝামেলা হয় অনেক। আমার স্বামী নুর নেছাকে বলে আমাকে যেখানে পাবে সেখানেই মারবে। পরে গতকাল কারখানা থেকে বের হওয়ার পর সাভার ফায়ার সার্ভিসের সামনে আমার চোখে ও বুকে সুতার কাটার দিয়ে মারে। তার পর আমি আর কিছু বলতে পারি না।
ভুক্তভোগীর ছোটো ভাই আল-আমিন বলেন, আমার দুলাভাই আরেকটা বিয়ে করে। এইটা নিয়ে তাদের পরিবারে প্রায়ই ঝামেলা হয়। গতকাল আমার বোন কারখানা থেকে বের হওয়ার সময় তাকে সেই মহিলা কাটার দিয়ে বাম চোখে আঘাত করে৷ চোখটা নষ্ট হয়ে গেছে আমার বোনের। চোখে আঘাত করার পর বুকেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা আমার বোনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে৷
সাভার থানার পরিদর্শক (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, এমন কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। আর এমন ঘটনা আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]
Copyright © 2024 দৈনিক শিরোমনি | shiromoni.com. All rights reserved.