রেদোয়ান হাসান সাভার ঢাকা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার বিরুদ্ধে স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল করিমের কাছে চাঁদা দাবি ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তার ছেলে শাহরিয়ার ইসলাম শরীফ।অভিযুক্তরা হলেন- সাভার পৌরসভার ডগরমোড়া এলাকার আহাম্মদ আলীর ছেলে সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা (২৬), চাপাইন এলাকার আজিম উদ্দিনের ছেলে রাইসুল ওরফে বাবু (২৩) ও তার সহযোগী স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ইসরাফিল (২৮)। ভুক্তভুগী ইউপি সদস্য আব্দুল করিম অভিযোগ করেন, সরকারি রাস্তার ড্রেনের কাজ করার সময় সেখানকার কিছু ইট ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানার নির্দেশে আমার হেফাজতে রাখি। রবিবার রাতে সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার নেতৃত্বে ১০ টি মোটরসাইকেলে করে প্রায় ২০ জন সন্ত্রাসী এসে রাস্তার কাজে বাধা প্রদান করে। এর আগে রাইসুল ওরফে বাবু আমাকে ফোন করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু আমি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় সন্ত্রাসীরা স্থানীয় কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। তাদেরকে বাঁধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা আমার ভাতিজাসহ কয়েকজন কে মারধর করে। এছাড়া পরবর্তীতে রাস্তার কাজ করতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। সন্ত্রাসীদের মারধরে আহত লেবার হাফিজুর রহমান বলেন, আমি রাস্তার কাজ করার সময় কয়েকজন ছেলে মোটরসাইকেলে করে এসে আমাদের কাজ বন্ধ করে দেয়। আমি কারণ জানতে চাইলে তারা আমাদেরকে মারধর করে। স্থানীয়রা জানায়, রবিবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে লেবার হাফিজুর রহমান, আনোয়ার, খোকা মিয়া, আবু কালামসহ কয়েকজনকে মারধর করে। এছাড়া পরবর্তীতে তাদের নির্দেশ ছাড়া কাজ করলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এসময় স্থানীয় বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর করা ব্যবসায়ী এলাকাবাসীরা আতঙ্কে রয়েছেন। তবে অভিযুক্ত ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল রানা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মারধরের সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না এবং চাঁদা দাবির বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে দুই গ্রুপে জামেলার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে সরিয়ে দেই এবং বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ সোহেল রানা কে জানাই। তিনি বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদে বসে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। জানতে চাইলে সাভার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ সোহেল রানা বলেন, আমি মেম্বার কে এড গুলো তার হেফাজতে রাখতে বলেছি। এরপরও কেন ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল রানা বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা করলো সেটা নিয়ে আমরা ইউনিয়ন পরিষদে বসে শুনব এবং সমস্যার সমাধান করবো।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে জানতে পেরেছি। এঘটনায় সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১ view