আব্দুল জলিল মিয়া সাভার (আশুলিয়া) ঢাকা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ ঢাকা জেলা উত্তর শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, আধিপত্য বিস্তার, বিতর্কিতদের বিভিন্ন পদে স্থান দেয়া ও কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগে তাকে শোকজ করেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি জানানো হয়। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।আসন্ন আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন এই ছাত্রলীগ নেতা। সম্প্রতি তিনি আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর শাহীন কবির হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি নাদিম হোসেনকে করেন থানা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী। সভাপতি হিসেবে তাকে পদে বাসানোর আশ্বাসে মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ মনিরের বিরুদ্ধে।এর আগে তার জেলা কমিটিতে সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেন বিবাহিত ও জেলা ছাত্রদলের প্রভাবশালী নেতা আল-আমিনকে। আলামিন বিবাহিত ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকলেও তাকে দেয়া হয় ছাত্রলীগের পদ। গত কয়েক মাস আগে ইয়াবা সেবন ও আবাসিক হোটেলে নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় আলামিনের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা তো দূরের কথা, উল্টো সে সময় তার দায়িত্ব নিতে কেখা গেছে ছাত্রলীগ নেতা মনিরকে।এছাড়া ছাত্রলীগ নেতা মনিরের আরেক অনুসারী ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মামুন শাকিল বাপ্পি। আশুলিয়া থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য থেকে ছাত্রলীগ নেতা মনিরের হাত ধরে প্রবেশ করেন ছাত্রলীগে। ২০১৭ সালে সাভারের সিটি ইউনিভার্সিটির ছাত্র সিফাতকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি এই বাপ্পি। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডে ফেঁসে যাওয়ার পর তাকে পুনর্বাসন করতে জেলা ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসান ছাত্রলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম।এসব বিতর্কিত ব্যক্তিদের দলে স্থান দেয়া, পদ ও কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগে সর্বশেষ শুক্রবার রাতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগ নেতা মনিরের ঘনিষ্ঠ একজন বলেন, আমরা মনির ভাইয়ের অনুসারী। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তার কর্মকান্ড একেবারেই বিতর্কিত। মোটা টাকার বিনিময়ে একের পর এক বিএনপি’র লোকদের কাছে ছাত্রলীগের পদ বিক্রি ও বিতর্কিতদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বসানোর দায়ে তাকে অবিলম্বে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা এখন সময়ের দাবি।অন্যদিকে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরের এসব বিতর্কিত কর্মকান্ডের প্রতিবাদ, দলের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে হত্যা মামলার আসামি, মাদক ব্যবসায়ী ও ছাত্রদলের লোকদের কাছে ছাত্রলীগের পদ বিক্রির অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে ঝাড়– মিছিল বের করা হবে বলে জানিয়েছেন আরেক ছাত্রলীগ নেতা।তবে এসব বিষয়ে জানতে চেয়ে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।