রেদোয়ান হাসান সাভার ঢাকা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
সাভারে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ত্রাণ না পাওয়া নিয়ে বিতর্ক চলছে। তবে ১০০০ অসহায় মানুষের মধ্যে ত্রাণ না পাওয়া অভিযোগকারী মিলেছে তিনজন।অভিযোগকারী, প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়োজকরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।ত্রাণ না পাওয়াদের মধ্যে দুইজন মো. জয়নাল বলছেন হুরোহুরির কথা। বৃষ্টি বেগম নামে আরেকজন বলছেন, অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর তিনি সংসারের কাজে বাড়িতে ফিরে গেছেন। পরে এসে দেখেন ত্রাণ দেয়া শেষ।মবার সন্ধ্যায় সাভার পৌর এলাকায় মো. জয়নাল, জহুরা বেগম ও বৃষ্টি বেগমের বাসায় ত্রাণ পৌছে দেন ঢাকা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিএস মিজান।এসময় মো. জয়নাল বলেন, ‘আমাগোতো মনে করেন ধাক্কা দিয়া ফালায় দিছে। ফালায় দেওয়ার পরে আমিতো ঠাস কইরা পইরা গেছি। আমার মাথাটা চক্কর দিছে। আবোর সারা দিন না খাওয়া। নেতারা তখন বলছে, তোমারডা আছে। তুমি বাসায় চইলা যাও। আমি তখন বুঝতে পারি নাই, অসুস্থ্যতো।মারটা পরে আলাদা কইরা রাইখা দিছিলো। আমি, জহুরাসহ তিনজন আছিলাম। আরেকজনের নাম আমি কইতে পারি না। পরে সন্ধ্যায় নেতা আমারটা বাসায় দিয়া গেছে।’তিনি আরও বলেন, ‘মিজান নেতার বাসায় আমি আগে কাজ করতাম। উনি আগেও আমাগো বেশ কয়েকবার দিছে।বৃষ্টি বেগম বলেন, ‘তখন ভীড় হইয়া গেছিলো দেইখা পাই নাই। বাসায় বাচ্চা থুইয়া আইছিলাম দেইখা দেরি হওয়ায় আবার চইলা গেছিলাম। পরে দেড়টার দিকে আবার গেছি। তখন ত্রাণ দেওয়া শ্যাষ। তখন আমি কিছু কই নাই। জহুরা কইছে। উনিতো প্রতিবন্ধী। পরে আমারটা নেতার লোকজন আইসা বাসায় দিয়া গেছে।হুরাটারও দিয়া আসছে। নেতায়তো (জিএস মিজান) সব সময় দেয় আমাগো।প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদকর্মী ওমর ফারুক বলেন, ‘হুরাহুরির কারণেই সমস্যা হইছে। কারটা কে নিয়া গেছে ঠিক পায় নাই।উপস্থিত নেছার উদ্দিন নামে আরেক সংবাদকর্মী বলেন, ‘ত্রাণ দেওয়ার সময় আমি ওখানেই ছিলাম। তখন ছবি তোলা নিয়া অনেক হুরোহুরি হইছে। ওই সময় তিন জন ত্রাণ পায় নাই।ঢাকা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিএস মিজান বলেন, করোনাকালীন সময়ে আমি সারা বছর অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছি। আজ কেন্দ্রীয় যুবলীগের উদ্যোগে ১০০০ মানুষকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে। আগে থেকেই আমার বিভিন্ন এলাকার প্রতিবন্ধী ও দুস্থদের কার্ড দিয়েছিলাম। যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়। অনুষ্ঠানের পরে জানতে পারি কয়েকজন মানুষ ত্রাণ পায়নি। পরে নিশ্চিত হই মোট তিনজন ত্রাণ পায় নাই। আর যে তিন জন ত্রাণ পাননি তারা সবাই আমার বাসার পাশেই থাকেন। এদের মধ্যে জয়নাল ও বৃষ্টিকে আমি চিনি। জয়নাল আগে আমার বাসায় কাজ করতো। এখন প্যারালাইজড হয়ে অসুস্থ্য।যুবলীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ দুপুরে শোকসভা ও ত্রাণ বিতরণের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিসহ আমন্ত্রিত রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের বক্তব্য শেষে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ৫ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, তেল ১ লিটার, ডাল ১ কেজি, পেঁয়াজ ২ কেজি ও লবণ আধা কেজি ত্রাণের প্যাকেজ বিতরণের জন্য আগেই দুস্থ ও প্রতিবন্ধীর মাঝে কার্ড বিতরণ করা হয়েছিলো। অনুষ্ঠানে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান, ঢাকা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিএস মিজানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
১ view