ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘দিন যায় মাস যায়, বছর যায়। বছর ঘুরে এক যুগ যায়। যুগের পর যুগ যায়। এখন ৫০ বছর পার করলাম। আজ পর্যন্ত দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর যে অত্যাচার ও নিপীড়ন, কোনো সরকার তার সুরাহা করেনি। এমনকি ২০০১ সালে ধর্মীয় সংখ্যালঘুসহ আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তার বিচারও ক্ষমতাসীন সরকার করেনি।
সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হামলার বিচার হলেও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বাংলাদেশে বিচার হয় না বলে মন্তব্য করেন ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মিলন কান্তি দত্ত। তিনি বলেন, সম্প্রতি পাকিস্তানের একটি মন্দিরে হামলা হয়েছিল। মাত্র ১০ মাসের মাথায় ২২ জনকে পাঁচ বছর করে জেল দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। অথচ দেশে একটি সাম্প্রদায়িক হামলারও বিচারের মুখ দেখলাম না।
ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ বলেন, রাষ্ট্র ও সরকারের দায়িত্ব অপরাধীদের বিচার করা। সাম্প্রতিক সময়ে যেসব অপরাধ হচ্ছে, সেগুলোর অপরাধী কে সবাই জানে। অপরাধী দলের মধ্যে, সরকারের মধ্যে আছে।
অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সাম্প্রদায়িক হামলা ব্যাপক রূপ লাভ করেছে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব কাঙ্ক্ষিতভাবে এগিয়ে আসেনি, প্রশাসনিকভাবেও কঠোর পদক্ষেপ লক্ষ করা যায়নি। সাম্প্রদায়িক শক্তি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এ অবস্থা চলতে পারে না।
এ কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক অরুণ কুমার গোস্বামী। এতে আরও বক্তব্য দেন ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, ছাত্র ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক কাজল দাস ও সদস্যসচিব শিপন বাড়াইক, মহিলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য ও মধুমিতা বড়ুয়া এবং সাধারণ সম্পাদক দিপালী চক্রবর্তী, যুব ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস কান্তি বল, আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুনীল বিশ্বাস।