কামরুজ্জামান (কমল),সারিয়াকান্দি(বগুড়া)প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমনিঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দির চরের জমিতে এখন উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের চাষাবাদ হচ্ছে। দুই বছর ধরে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছেন চাষীরা। যে কারণে এখন অধিকহারে ঝুঁকে পরছেন এ ধানের চাষাবাদে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চরের চাষীরা সাধারণত বহুকাল থেকে স্থানীয় জাতের আউস ধানের চাষাবাদ করে থাকেন। এ ধান গুলো হলো, পরাঙ্গী, কালামানিক, সূর্যমূখী, মাটিচাক, পড়খীরাজ, লক্ষ্মীলতা, বটেশ্বর, কটকি, কালগড়ে, গড়ে, কইজুরি ইত্যাদি। এসব ধান থেকে প্রাপ্ত চালের ভাত খেতে আলাদা রকমের সুস্বাদু হলেও,ওই ধানের চাষাবাদ ভুলে গিয়ে অধিক ফলনের আশায় তারা এখন উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষাবাদ শুরু করে দিয়েছেন। এ জাতের ধানের মধ্যে হলো বিআর-২৮, ২৭, ৪৮, ৫৫ অন্যতম। তবে এ অঞ্চলের চাষীরা অধিকহারে চাষ করে থাকেন বিআর-২৮ জাতের ধান। এ জাতের ধান ১২০ দিন সময়ের মধ্যেই কৃষকের ঘরে আসে। মাঘ মাসে বীজ বপন করলে আগামী বৈশাখ মাসের মধ্যেই ঘরে ধান তোলা সম্ভব হয়। অর্থাৎ বন্যা শুরু হওয়া আগেই ঘরে ধান তোলা যায়। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ উপজেলায় এবার প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। বিল এলাকার সর্বত্রই বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের চাষ করছেন চাষীরা। তবে চরের চাষীরা এরই মধ্যেই করেছেন, প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে। কাজলা ইউনিয়নের ময়ুরের চরের চাষী জুয়েল শেখ বলেন, আমি চরের ৮ বিঘা জমিতে এবার বিআর-২৮ জাতের ধান রোপন করছি। ইতিপূর্বেকার জাতের ধান চাষ করে বিঘা প্রতি ৭/৮ মণ করে ফলন পেলেও, গত বছর বিআর-২৮ জাতের জাতের ধানে ফলন হয়েছিলো প্রতি বিঘাতে প্রায় ১৪ মণ। এতে আমি আর্থিকভাবে অনেক লাভ হয়েছি। যার কারণে এবার চাষ করছি ১২ বিঘা জমি। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আবদুল হালিম বলেন, চরের চাষীরা এমনিতেই কঠোর পরিশ্রমি। তারা বিশেষ কায়দায় চরের উঁচু-নিচু জমিতে শ্যালো মেশিন বসিয়ে সেচের মাধ্যমে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষাবাদ শুরু করে দিয়েছেন। এতে তারা আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হচ্ছেন। তাদেরকে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের জন্য পরামর্শ ও সাহায্য সহযোগীতা করে আসছি।
১ view