সকালে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধন করেন, জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন লেখক ও গবেষক মামুন সিদ্দিকী। একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি ডিএম আব্দুল বারীর সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন লিটনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, একুশে পরিষদের সহ সভাপতি এমএম রাসেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিযোগিতার নওগাঁ শহর ও সদর উপজেলার ১৪টি স্কুল থেকে নির্বাচিত ২৭ জন শিক্ষার্তী শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের ওপর বক্তব্য রাখেন। দুপুরে প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেন নওগাঁর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক। আয়োজকরা জানান, গত ১৩ অক্টোবর শুরু হওয়া এই প্রতিযোগীতায় জেলার ১৪টি স্কুলের ২৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। চূড়ান্ত পর্বে দুই বিভাগে ছিল মোট ২৭ জন শিক্ষার্থী। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে সার্জেন্ট জহুরুল হকের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। গণঅভ্যুত্থানের মহানায়কদের অন্যতম তিনি। ১৯৬৯ সালে তাঁকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইয়ুববিরোধী গণঅভ্যুত্থান পেয়েছিল চূড়ান্ত মাত্রা। তাঁর আত্মদানের কাহিনী নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতে এই বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে একুশে পরিষদ নওগাঁ।