রবিউল হাসান রাজিব ফরিদপুর প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ ৭ই জানুয়ারী ২০২২ শুক্রবার ফরিদপুর জেলা পুলিশ কর্তৃক সংবাদ সম্মেলনে জানা যায়, গত ৪ঠা জানুয়ারী ২০২২ বিকাল ১৭.২০ ঘটিকার সময় ফরিদপুরের সালথা থানাধীন বালিয়া গট্রি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরের গ্রাম্য দলপক্ষ এবং একই ইউনিয়নের খন্দকার রেজাউর রহমান চয়ন এর গ্রাম্য দলপক্ষের লোকজন কাইজ্জা দাঙ্গা করা এবং শক্তির মহড়ার প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে ঢাল, কাতরা, সরকি ও রামদা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মূখোমুখি অবস্থান করছে মর্মে সংবাদ পাওয়া গেলে সেখানে অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে সালথা থানার অফিসার ও ফোর্স উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ হওয়ার নির্দেশ দেয়।বিবাদমান পক্ষদ্বয়কে পুলিশ বারংবার সর্তক করা সত্বেও বেআইনী জনতা ছত্রভঙ্গ না হয়ে পুলিশের প্রতি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতঃ আরো বেপরোয়া ভাব এবং উশৃঙ্খলতা প্রকাশ করতে থাকে।বেআইনী জনতার নিক্ষিপ্ত ইটের আঘাতে অফিসার ইনচার্জসহ কর্তব্যরত ৭-জন পুলিশ সদস্য জখমপ্রাপ্ত হয়।কর্তব্যরত পুলিশ দল নিজেদের জানমাল, সরকারি অস্ত্র-গুলি ও সাধারণ জনগণের জানমাল রাক্ষার্থে ৩ (তিন) টি গ্যাস সেল এবং ৭-(সাত) রাউন্ড শর্টগানের কর্তুজ ফায়ার করে বেআইনী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। সৃষ্ট ঘটনায় পুলিশি তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। ঘটনা জড়িত ০৩ জনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়।অলোচ্য ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৩২ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত অনেককেই আসামী করে সালথা থানার মামলা নং-০৫, তারিখ ৫ই জানুয়ারী ২০২২, ধারা-১৪৩/১৮৬/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৩৪/১০৯/১১৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। রুজুকৃত মামলায় এই পর্যন্ত ১১ জন আসামীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।সৃষ্ট ঘটনায় ধারাবাহিকতায় বর্ণিত পক্ষদ্বয় পুনরায় ০৫/০১/২২ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার সময় একই স্থানে ঢাল, কাতরা, সরকি ও রামদা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা ফ্যাসাদ করার জন্য মুখোমুখি হওয়ার চেষ্টা করলে ঘটনাস্থলে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ উপস্থিত সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ হবার নির্দেশ দিলে বিবাদমান পক্ষদ্বয় পুলিশি নির্দেশ অমান্য করে একে অপরের প্রতি আক্রমন করার উদেশ্যে বেপরোয়া আচরন করতে থাকলে তাদের ছত্রভঙ্গ করার নিমিত্তে পুলিশ টিআর গ্যাস সেল এবং শটগানের গুলি বর্ষন করে বেআইনী জনতাকে সাময়িক সময়ের জন্য ছত্রভঙ্গ করে দিলেও বিবাদমান পক্ষদ্বয় ভাবুকদিয়া, বালিয়া, মধ্য বালিয়া, আড়ুয়াকান্দি গ্রাম সমূহে বিক্ষিপ্তভাবে পুনরায় আরো বৃহৎ আকারে সংঘবদ্ধ হয়ে একে অপরকে এবং পুলিশের উপর আক্রমন করার জন্য বেপরোয়াভাব প্রকাশ করতে থাকলে জরুরী ভিত্তিতে পুলিশ লাইন্স ফরিদপুর হতে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে টিয়ার সেল ও শটগানের কার্তুজ ফায়ার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এই ঘটনায় সর্বমোট ৩০ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ১৪ টি গ্যাস সেল নিক্ষেপ করা হয়।উক্ত সংঘর্ষ চলাকালে উপজেলা চেয়ারম্যানের দলপক্ষের লোকজন বিরোধী দলপক্ষের পিকুল মোল্যার টিনের বসতঘর কুপিয়ে ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন করে। এসময় বৈদ্যুতিক মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে ঘরে আগুন ধরে যায়।ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।পুলিশের সময়োপযোগী ও কৌশলী পদক্ষেপ গ্রহনের ফলে বালিয়া গট্টি সাকিন এলাকায় কোন প্রকার হতাহতের ঘটনা ছাড়াই বড় রকমের সংঘাত নিবারন করা সম্ভব হয়েছে। এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে গোয়েন্দা নজরদারি ও পুলিশি তৎপরতা অব্যহত আছে।
৪ views