ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের সালথায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন চলছে অবাধে। সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির ফলে প্রতি নিয়ত হুমকির মূখে পড়ছে রাস্তা, বসত-বাড়ি ও ফসলি জমি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক মাস ধরে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের বারখাদ্দিয়া গ্রামে অপরিকল্পিত ভাবে ৩টি ড্রেজার দিয়ে সরকারি পাকা সড়কের সাইড ও ফসলি জমি থেকে অবৈধ বানিজ্যিক ভাবে বালু উত্তোলন করছে কিছু ব্যাবসায়ী যেখানে সরকারী পাকা সড়কে বিট বসিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃৃৃষ্টি করে দীর্ঘ পাইপ লাইনের মাধ্যমে বালু নিয়ে ফেলা হচ্ছে অন্যত্র। ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা ও রাস্তায় বিট বসিয়ে বালু নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উক্তো ড্রেজার মালিক নুরআলম বলেন, আমি প্রশাসন থেকে অনুমতি এনেছি।
এদিকে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের খোঁয়ার গ্রাম এলাকায় একই চিত্র দেখা গেছে, স্থানীয় ও যানবাহন চালকদের অভিযোগ প্রায় ৩ মাস ধরে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি করে সরকারি পাকা সড়কে বিট বসিয়ে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বালু অন্যত্র নিচ্ছে মোজাম্মেল নামে প্রলাবশালী এক বালু ব্যাবসায়ী।
এছাড়া উপজেলার গট্টি,মাঝারদিয়া, বল্লভদী, রামকান্তুপুর ও সোনাপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু যায়গা থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে ব্যাবসায়ীরা। অন্যদিকে সালথা উপজেলার কোথাও অনুমদিত কোন বালুমহাল নেই এবং ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনে নেই প্রশাসনের অনুমতিও। এরপরও প্রভাবশালীদের বারাই দিয়ে বালু ব্যাবসায়ীরা অবৈধভাবে বালু ব্যাবসা পরিচালনা করে চলেছে, স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেউ কেউ জানায় বালু ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে প্রশাসনের কতিপয় কর্তা ব্যাক্তি সুবিধা নিয়ে তাদের কিছুই বলেনা।
অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়টি অবগত নয় বলে জানিয়েছে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ হাসিব সরকার, তবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, বেসরকারীভাবে কোথাও কোন বালু উত্তোলনের অনুমতি আগেও দেয়া হয়নি, ভবিষ্যতেও দেয়া হবে না।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]