রবিউল হাসান রাজিব ফরিদপুর প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ ফরিদপুরের সালথা থানাধীন মীরকান্দি ডাঙ্গিরপাড় পাকা রাস্তার পশ্চিম পাশে মিল মাঠের খাদের ভিতরে ০৯ আগস্ট ২০২১ রাত অনুমান ১০.০০ ঘটিকা হতে ১০ আগস্ট সকাল অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় লাভলু ফকির (৪০) পিতা-হোসেন ফকির, সাং-মিরকান্দি, থানা-সালথা, জেলা-ফরিদপুর নামক একজন ভ্যান চালককে অজ্ঞাতনামা আসামীরা দস্যুতা সংঘটনকালে হত্যা করে তার লাশ গুম করে। ডিসিস্ট লাভলু ফকিরকে তার পরিবারের লোকজন না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। পরবর্তীতে ডিসিস্ট লাভলু ফকিরের লাশ পাওয়া গেলে তার স্ত্রী হনুফা বেগম অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে সালথা থানায় একটি এজাহার দায়ের করে। উক্ত এজাহারের প্রেক্ষিতে সালথা থানায় মামলা রুজু হয়।মামলাটি রুজু হওয়ার পর ফরিদপুর পুলিশ সুপার মোঃ আলিমুজ্জামান (বিপিএম সেবা) এর নির্দেশনায় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, নগরকান্দা সার্কেল ও অফিসার ইনচার্জ সালথা থানার কৌশলগত নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও বিশ্বস্ত সোর্সের সহযোগিতায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ মিজানুর রহমানসহ সালথা থানার একটি চৌকস তদন্ত সহায়ক টিম মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৬ আগস্ট বিভিন্ন সময় ও বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মামলার ঘটনায় জড়িত আসামী ১। মোঃ হাতেম ফকির (৩২), পিতা-মৃতঃ মোফাজ্জেল ফকির, সাং-মীরকান্দি, ২। মোঃ ওহিদ গাজী (৩২), পিতা-মৃতঃ তাজু গাজী, সাং-দক্ষিণ আটঘর, ৩। মোঃ মিলন মীর (২৫), পিতা-মোঃ কুদ্দুছ মীর, সাং-মীরকান্দি, সর্ব থানা-সালথা, ৪। মোঃ আজিজুল খান (২৬) পিতা-আকুব্বর খান, সাং-সুগন্ধি থানা- বোয়ালমারি এবং ৫। মোঃ সোহাগ মাতুব্বর (২২) পিতা-মোঃ ভুট্টো মাতুব্বর, সাং-মীরকান্দি, থানা- সালথা, সর্ব জেলা- ফরিদপুরদের গ্রেফতার করা হয়। আসামীরা পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে।গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের নিকট প্রদত্ত জবানবন্দিতে স্বীকার করে যে, তারা পূর্ব পরিকল্পনা মতে টাকা ও ভ্যান ছিনতাই এর উদ্দেশ্যে বিগত ০৯ আগস্ট রাত অনুমান ১১:০০ ঘটিকায় ভ্যানচালক লাভলু ফকিরকে সালথা থানার পাকা রাস্তার উপর পথরোধ করে তার কাছে থাকা নগদ ১৫,০০০/- (পনেরো হাজার) টাকা ও ব্যাটারী চালিত ভ্যানটি জোরপূর্বক কেড়ে নেয়। এরপর তাকে হত্যা করে লাশ রাস্তার পার্শ্বে খাদে ফেলে রেখে চলে যায়। অতঃপর লুণ্ঠিত টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় এবং ভ্যানের বিভিন্ন অংশ আলাদা করে লুকিয়ে রাখে। আসামিদের দেওয়া তথ্য মতে মামলার ঘটনায় লুন্ঠিত ভ্যান গাড়িটির বিভিন্ন অংশ বিশেষ (মোটর-০১টি, চাকা-০১টি, লুকিং গ্লাস ফ্রেমসহ এক সেট, টানা স্প্রিং-০২টি, বডির পিছনের এঙ্গেল-০১টি, সামনের চাকার টানা রড-০২টি, বডির নাট-০৪টি, সামনের লাইট ও মিটার-০১টি এবং বিয়ারিং কভার-০৪টি) উদ্ধার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।
৭ views