শহিদুল ইসলাম সুইট,সিংড়া(নাটোর) প্রতিনিধিঃ
নাটোরের সিংড়া নুরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অপমানজনক কথাবার্তা,ধস্তাধস্তি, হুমকি-ধামকি সহ লাঞ্জিতের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় নুরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে ওই প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতির ছোট ভাই কর্তৃক এই লাঞ্জিতের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,নুরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে র্দীঘ দিন যাবত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন নুরপুর গ্রামের এমদাদুল হক বাবলু মন্ডল।
কিছু দিন আগে কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহবায়ক কমিটিতে সভাপতি বাবলু মন্ডলের নাম না থাকায় ক্ষিপ্ত হন তার পরিবার। এরই জের ধরে বাবলু মন্ডলের ছোট ভাই মধু মন্ডল প্রধান শিক্ষক মোঃ আমজাদ হোসেনকে লাঞ্জিত করে। এবিষয়ে জানতে চাইলে নুরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমজাদ হোসেন বলেন, আমি সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে আমাকে পথ আটকায় সাবেক সভাপতির ছোট ভাই মধু মন্ডল। এর পর আমাকে বলে আমার সাথে ক্লাব ঘরে যেতে হবে। আমি যেতে না চাইলে আমার সাথে জড়াজড়ি করে।
অকাট্য ভাষায় গালিগালাজ করে,হুমকি দেয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন আমাকে মুক্ত করে। ওই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান আহবয়ক কমিটির সভাপতি মোঃ বকুল হোসেন বলেন, বাবলু চাচা অনেক দিন ধরে এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন,তিনি শিক্ষকদের নানা কাজে রাজাকার বলে গালিগালাজ করেন। এছাড়া স্কুলের অনেক অনিয়ম কাজে জড়ি থাকায় শিক্ষক ও অভিভাবক ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে আহবায়ক কমিটিতে রাখেন নাই।
অভিুযুক্ত মধু মন্ডল বলেন,উনি আমার স্যার। উনাকে অপমানজনক কিছুই বলা হয় নাই। আমি শুধু বলেছি স্যার ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি যে শীট দিচ্ছেন তার ফটো কপির দাম ২টাকার কাছে ২৫ টাকা নিচ্ছেন কেন। অভিযুক্ত মধু মন্ডলের বড় ভাই বাবলু মন্ডল বলেন,আমি এই প্রতিষ্ঠানে সেই ১৯৯৬ সাল থেকে সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম। কোন অভিভাকককে না জানিয়ে অবৈধভাবে গোপনে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কলম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঈনুল হক চুনু বলেন, প্রধান শিক্ষককে এভাবে লাঞ্জিত করা দুঃখজনক। নুরপুর হাইস্কুলের পাশে একটি অবৈধ ক্লাব ঘর আছে যেখানে তাস জুয়া সহ নানা অসামাজিক কর্মকান্ড চলে। মধু মন্ডল ওই ক্লাবের সাথে জড়িত। আমি প্রশাসনকে এব্যাপারে জানিয়েছি।