সেলিম রেজা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবৈধভাবে নিষিদ্ধ নেটজাল ও বেড় জাল দিয়ে বিভিন্ন নদী, বিল ও জলাশয়ে স্থায়ী ভাবে ঘেড়াও করে মা মাছ, পোনা মাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ অবাধে নিধন চলছে।শাহজাদপুর পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নদী ও বিল অঞ্চলে এই দৃশ্য চোখে পড়ে। প্রথমে ডালপালা, কলমী ও কচুরি ফেলে মাছের অভয়াশ্রম তৈরি করে পরে নীল রংয়ের নেটজাল দিয়ে এভাবে ঘেড়াও করে মাছ ধরার ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছ গুলো বিলুপ্তির পথে।জানা যায়, মৎস্য সম্পদ রক্ষা আইনে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, ৪.৫ সে.মি. এর কম ফাঁস জাতীয় যে কোন প্রকার জাল দিয়ে চাষ করা ব্যাতীত মাছ ধরার উদ্দেশ্যে ব্যবহার বা ঘেড়া দেওয়া নিষিদ্ধ। এবং এই পরিস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিধান রয়েছে,তবে একশ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি নিয়মনীতি ও আইনের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার দাপটে বিস্তির্ণ জলাশয়, নদী ও বিলে প্রায় ১ সে.মি. কমের ফাঁস জাতীয় এসকল নেট জাল বা বেড়জাল ব্যবহার করে মৎস্য সম্পদ ধ্বংসের মতো কাজে লিপ্ত রয়েছে।সরেজমিনে শাহজাদপুর পৌর শহরের বিসিক বাসস্ট্যান্ডে ও জে জে কল্যাণ ট্রাস্টের পশ্চিমের বিল ও উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের রাউতরা, চড়া-চিথুলিয়া, পোতাজিয়া গ্রামের গিয়ে দেখা এই দৃশ্য দেখা যায়। একেকটি স্থানে প্রায় ১ কিলোমিটার অনেক স্থানে আধা কিলোমিটার নদী, বিল ও জলাশয়ের অংশ ঘেড়াও করে মাছ শিকার চলছে।স্থানীয় জেলেরা জানায়, এভাবে ঘেড়া দেওয়ার কারণে আমাদের মতো সাধারণ জেলেদের মাছ ধরার জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। প্রায়ই এসকল ঘেড়াকারীর সাথে আমাদের মাছ ধরা নিয়ে বিরোধ তৈরি হচ্ছে এবং আমাদের হুমকি ও ধমক দেওয়া হচ্ছে। যদিও ঘেড়া দেওয়া অবৈধ তারপরও স্থানী মৎস্য অফিসের কর্মকর্তারা এই বিষয়ে কোন ব্যবস্থাই নেয় না।এই বিষয়ে আব্দুল আলীম নামের আরেকজন জেলে বলেন, নদীতে যখন পানি কমতে শুরু করে তখন এক শ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যক্তি নদী, বিল ও জলাশয়ের বিস্তির্ণ এলাকা জুড়ে কাঠা বা ডালপালা ফেলে। এর ফলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সহ মা মাছ ও পোনা মাছ সেই জায়গায় আশ্রয় নেয়। কিছুদিন পরে সেই জায়গাটিকে নীল রংয়ের নেটজাল দিয়ে ঘেড়াও করে মাছ গুলোকে আটকে ফেলে, ফলে মা মাছ সেই ঘেড়ার ভেতরেই ডিম ছাড়ে।এসকল ঘেড়াতে যে নেট বা জাল ব্যবহার করা হয় সেগুলোর ফাঁস বা ফুটো এতোই ছোট যে পোনা মাছ, মাছের ডিম, এমনকি মায়লাও বের হতে পারে না। এসকল নেট জালের ফাঁস এতই কম যে অনুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে দেখতে হয় ৃএই বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাথী রানী নিয়োগী বলেন, ৪.৫ সেন্টিমিটারের কম ফাঁসের জাল বা নেট দিয়ে যদি কেউ মাছের বিচরণ বাধাগ্রস্থ্য করে বা ঘেড়াও দেয় তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
০ views