সেলিম রেজা (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ সিরাজগঞ্জে শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের স্বরুপপুর গ্রামে শ্রেণি পরিবর্তন করে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে। আর পুকুর খনন করার পর তোলা মাটি বিক্রি করা হচ্ছে সত্ত্বাধিকারী মনিরুজ্জামানের আর. জি. এন. ইটভাটায়,, সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে ১৮টি ইটভাটা। ফলে আশপাশের ফসলি জমিতে পুকুর খননসহ নির্বিচারে কাটা হচ্ছে উর্বর মাটি। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী মজা পুকুর,খাল-বিল, নদ-নদী, চরাঞ্চল,পতিত ও আবাদি জমি থেকে মাটি কাটা নিষিদ্ধ থাকলেও তা মানছে না কেউই। তাদের এহেন কর্মকাণ্ড দীর্ঘদিন থেকে চালিয়ে আসলেও এ যেন দেখার কেউই নেই,গ্রামবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কায়েমপুর ইউনিয়নে স্বরুপপুরে জমিতে খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে পাশের আর.জি.এন. ইটভাটায়। সেখানে আর.জি.এন. ইটভাটার কর্মচারী রানা দেখাশোনার দ্বায়িত্বে আছেন। তার কাছ থেকে জানা যায়, শতক প্রতি ১১হাজার টাকায় মাটি কিনছে তারা। তাকে পুকুর খননের অনুমতি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি ভাটার মালিকের সাথে কথা বলতে বলেন। আর. জি. এন. ইটভাটার সত্ত্বাধিকারী মনিরুজ্জামানের সাথে কথা হলে জানান, আমার নতুন ভাটার জন্য ইট বানাতে মাটির প্রয়োজন তাই জমির মালিকের কাছে থেকে মাটি কিনে নিয়েছি। জমির মালিক নিজেই পুকুর খনন করছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন,,বিষয়টি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে দ্রুত উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবগত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিয়াকত সালমান বলেন, পুকুর খননের বিষয়টি আপনাদের কাছ থেকে জানলাম, আমি তফশীলদারকে পাঠিয়ে দিয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।আর এভাবে ফসলি জমির মাটি ইট ভাটায় যেতে থাকলে আস্তে আস্তে ফসল উৎপাদন কমে যাবে। প্রতি বছর ইট তৈরীর মৌসুমে ফসলি জমি থেকে মাটি সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। আর এসবের বিরুদ্ধে এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করেন সচেনতন মহল।
০ views