সেলিম রেজা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে যমুনা নদীতে শুকনো মৌসুমে জেগে ওঠা চর কেটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন আর বিক্রির মহোৎসব শুরু হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন গতবছর বার বার অভিযান পরিচালনা করলেও এখনো বালু উত্তোলন ও বিক্রি বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। একইসঙ্গে বালুবাহী ট্রাক চলাচলে স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ বিভিন্ন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এ এলাকার মানুষের। আক্ষেপ করে স্থানীয়রা আরও বলেন গতবছর নম্বরবিহীন অবৈধ বালুবাহী ট্রাকে প্রাণহানীর মত ঘটনাও ঘটেছে। তাও থামছে না অবৈধ বালু কাটা।বৃহস্পতিবার(৭অক্টোবর) উপজেলার জামিরতা জগতলা গুদারাঘাট এলাকার যমুনা নদীর অংশে গেলে দেখা যায় জেগে ওঠা চর কেটে নৌকায় বালু নিয়ে এসে ট্রাকে ভর্তি করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীতে জেগে ওঠা বুক চিড়ে প্রবাহিত যমুনায় বর্তমান মৌসুমে পানি না থাকায় জামিরতা জগতলা গুদারা ঘাটে বিশাল চর জেগে ওঠেছে। বিশাল স্থান নিয়ে জাগা এই চরে সঙ্ঘবদ্ধ প্রভাবশালী চক্র জগতলা গুদারা যমুনা নদীর ঘাট এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। প্রতিদিন ওই সঙ্গবদ্ধ চক্রের ৪৫-৫০ জন শ্রমিক নদীর চর কেটে ট্রাকে বালু ও মাটি তুলে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ফলে সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে বলে জানা গেছে।অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা এলাকার প্রভাবশালী লোক। এরা প্রভাব খাটিয়ে বছরে পর বছর দিন-রাত হাজার হাজার ট্রাক বালু বিক্রি করে আসছেন। এ বালু উত্তোলন নিয়ে প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করলেও একদিনের জন্যও এই অবৈধ বালু উত্তোলন ও বিক্রি বন্ধ করতে পারেননি প্রশাসন।এলাকাবাসী দাবী করছেন, অবিলম্বে এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আর প্রশাসনের কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থেকে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে কি না, সেটা তদন্ত করার জোর দাবি জানান।এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট লিয়াকত সালমান প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।এই বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা বলেন, যমুনা চর থেকে আমরা কাউকে বালু উত্তোলন বা কাটার অনুমতি দেইনি। আমি বিষয়টি জানলাম যারা যারা কাটছে বা তুলছে তাদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল এ্যাকশান নেওয়া হবে।
১৭ views