সেলিম রেজা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের রূপসী-ঘাটাবাড়ি সড়ক বন্যার পানির চাপে ভেঙ্গে যাওয়ায় ৫ গ্রামের ৪ হাজার মানুষের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের রূপসী-ঘাটাবাড়ি সড়কের ঘাটাবাড়ি ব্রীজের পশ্চিম সড়কের ৬/৭ ফুট এলাকা বুধবার ভোর রাতে বন্যার পানির চাপে ভেঙ্গে গেছে। ফলে ওই এলাকার ৫ গ্রামের ৪ হাজার মানুষের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ সড়ক দিয়ে পণ্যবাহী যানবহণ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে এতে ওই এলাকার মানুষকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারা জীবনের ঝুকি নিয়ে নৌকায় পাড়াপাড় হচ্ছে। গ্রামগুলি হল রূপসী, ঘাটাবাড়ি, জালালপুর, পাকুরতলা ও কুঠিরপাড়া।এ বিষয়ে এলাকাবাসি জানায় ২ বছর আগে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ৩৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৩৮ ফুট দৈর্ঘ কংক্রিট ব্রীজটি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণের ফলে বর্ষার শুরুতেই সামান্য বন্যার পানির চাপে ব্রীজের পশ্চিম অংশের সড়ক ভেঙ্গে গেছে সেই সাথে ব্রীজটির পাশ্চিম-দক্ষিণ কোণায় ৩ সেন্টিমিটার দেবে গেছে। এছাড়াও পশ্চিম-উত্তন কোণার গাইড ওয়াল ভেঙ্গে বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এটি নির্মাণে দূর্ণীতি না হলে এ অবস্থা হোত না। এ বিষয়ে জালালপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মহির উদ্দিন বলেন,বন্যার পানির চাপে সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এলাকাবাসির যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুত সময়ের মধ্যে বালুভর্তি জিওটেক্স বস্তা দিয়ে ডাম্পিং করা না হলে এ ভাঙ্গণের পরিধি আরো বৃদ্ধি পেয়ে এলাকার বাড়িঘর বন্যার পানিতে ডুবে যাবে। তিনি আরো বলেন এ সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এ এলাকার প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।এ বিষয়ে জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বলেন,সকালেই ভাঙ্গণ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো: শামসুজ্জোহা ও পিআইও আবুল কালাম আজাদকে জানানো হয়েছে, তারা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙ্গণ রোধে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো: শামসুজ্জোহা বলেন,সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলে ওই স্থানের ভাঙ্গণ রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।এদিকে ওই ৫ গ্রামের নদী তীরবর্তী বাড়িঘর যমুনা নদীর অব্যহত ভাঙ্গণের ফলে গত ২৪ ঘন্টায় অন্তত ২০টি বাড়িঘর বিলিন হয়ে গেছে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জালালপুর গ্রামে বস্তা ডাম্পিং শুরু করায় ওই গ্রামের ভাঙ্গণের তীব্রতা কমে এলেও দক্ষিণ পাশের ঘাটাবাড়ি ও পাকুরতলা গ্রামে ব্যাপক ভাঙ্গণ শুরু হয়েছে। এছাড়া যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকায় শাহজাদপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের নিচু এলাকা গুলো বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে, তিল, ভুট্টা, কাউন, গামাঘাস ও নেপিয়ার ঘাসের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
৪ views