দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। কিন্তু পরের দুই ম্যাচে হেরে যায় অল্পের জন্য। ফলে দেখা দেয় সিরিজ হারের শঙ্কা। তবে দুই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার কাইরন পোলার্ড ও ডোয়াইন ব্রাভোর নৈপুণ্যে চতুর্থ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ক্যারিবীয়রা, সিরিজে ফিরেছে সমতা।
গ্রেনাডার সেইন্ট জর্জেসের ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের ব্যবধান ২১ রানের। পোলার্ডের ঝড়ে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৬৭ রান করেছিল স্বাগতিকরা। জবাবে ডোয়াইন ব্রাভোর ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ১৪৬ রানের বেশি যেতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো যায়নি প্রোটিয়াদের। পার্টটাইম স্পিনার এইডেন মারক্রামের করা প্রথম ওভার থেকে দুইটি করে চার-ছয়ের মারে ২০ রান নিয়ে নেন ক্যারিবীয় ওপেনার লেন্ডস সিমনস। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাঁকান আরেক ওপেনার এভিন লুইস।
সব মিলিয়ে প্রথম পাওয়ার প্লে'তে ৫৭ রান তুলে নেয় স্বাগতিকরা। বিপরীতে সাজঘরে ফিরে যান এভিন লুইস (৫ বলে ৭) ও ক্রিস গেইল (৮ বলে ৫)। লুইস-গেইলের ব্যর্থতার পরেও প্রথম ছয় ওভারে বড় রান তোলার কৃতিত্ব সিমনসের। তিনি মাত্র ১৯ বলে করেন ৪১ রান।
কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষেই মুখ থুবড়ে পড়ে ক্যারিবীয়দের ইনিংস। চার নম্বরে নামা শিমরন হেটমায়ার ১২ বল খেলে করেন মাত্র ৭ রান। যে কারণে পরের ৪ ওভার থেকে ১০ রানের বেশি করতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। ফিফটির সম্ভাবনা জাগিয়েও ৪৭ রানে আউট হন সিমনস। ফলে বিপদ আরও বাড়ে তাদের।
মাত্র ৬ ওভারেই ৫৭ রান করে ফেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজের শতরান পূরণ করতে খেলতে হয় ১৬তম ওভার পর্যন্ত। ব্যর্থতার পরিচয় দেন নিকোলাস পুরান (১৫ বলে ১৬) ও আন্দ্রে রাসেলরা (৮ বলে ৯)। ফলে ১৬ ওভার শেষে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১০১ রান।
সেখান থেকেই ঝড় শুরু করেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক পোলার্ড। ইনিংসের ১৬ ওভার শেষে তিনি খেলছিলেন ১১ বলে ৭ রান নিয়ে। আর পরে ইনিংস শেষ করেন নামের পাশে ২৫ বলে ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস সাজিয়ে। কাগিসো রাবাদার ১৯তম ওভারে ২৫ ও শেষ ওভারে আসে ১৮ রান।
মুখোমুখি শেষ ১৪ বল থেকে ৪৪ রান নেন পোলার্ড। যেখানে ছিল ২ চার ও ৫টি ছয়ের মার। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ টি-টোয়েন্টি ফিফটিতে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন অধিনায়ক। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে ১৩ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন ফাবিয়ান অ্যালেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন জর্জ লিন্ডে ও তাবরাইজ শামসি। দুজন মিলে ৮ ওভারে খরচ করেন মাত্র ২৯ রান। সবচেয়ে খরুচে ছিলেন লুঙ্গি এনগিডি। তার ৪ ওভারে আসে ৪৮ রান।
রান তাড়া করতে নেমে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক ব্যতীত আর কেউই তেমন আশা দেখাতে পারেননি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে প্রথম ব্রেকথ্রু দিয়েছিলেন ক্রিস গেইল। এরপর নিয়মিত বিরতেই উইকেট হারাতে থাকে প্রোটিয়ারা।
একপ্রান্ত আগলে রেখে ক্যারিয়ারের অষ্টম টি-টোয়েন্টি ফিফটি তুলতে নেন ডি কক। ইনিংসের ১৮তম ওভারে আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৩ বলে ৬০ রান। এছাড়া এইডেন মারক্রাম ২০ বলে ২০ ও কাগিসো রাবাদার ১২ বলে ১৬ রানের সুবাদে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান পর্যন্ত যায় তাদের ইনিংস।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]