বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে আলাদা দুটি অভিযোগটি দায়ের করেন জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট গ্রামের কোনাট গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে গোলাম মিয়া ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,গত ৮/১০দিন ধরে যাদুকাটা নদীর ফাজিলপুর বালু মিশ্রিত পাথর মহালের সোহালা ও কোনাট মৌজায় এবং শ্রী শ্রী অদ্বৈত্য আশ্রম সংলগ্ন লামাশ্রম ও চালিয়ারঘাট মৌজায় যাদুকাটা-১ ও যাদুকাটা-২ বালু মহালের ইজারাদারগন বেআইনিভাবে প্রতিদিন রাতে পরিবেশ বিধংসী ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবাধে খনিজ বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে করে আশপাশের ৪০টি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিরাতে ১৫/২০টি অবৈধ ড্রেজার মেশিন চালিয়ে কয়েকলাখ টাকার বালু উত্তোলনের ফলে যাদুকাটা নদীর উপর সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শাহ আরফিন অদ্বৈত্য মিত্র সেতুটি,এশিয়া মহাদেশের মধ্য বিখ্যাত শিমুল বাগান,লাউড়েরগড় বিজিবি ক্যাম্প,লাউড়েরগড় বাজার,বিন্নাকুলি বাজার,কোনাট বাজার,মিয়ারচর বাজার নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার ও শংঙ্কা রয়েছে। সিন্ডিকেটচক্রের সদস্যরা সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্যর ঘনিষ্ট লোকজন বলে তাদের ভয়ে এলাকার নিরীহ লোকজন মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন। এই নদীতে প্রাকৃতিক উপায়ে আসা বালু,নুরীপাথর ও লাকড়ী উত্তোলন কওে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন আশপাশের ৪০টি গ্রামের হাজারো নারীপূরুষ শ্রমিকেরা। এই অবৈধ ড্রেজার মেশিনের তান্ডবে এবং রাথের আধাঁরে বালু উত্তোলনের ফলে এবং প্রভাবশালীদের ভয়ে নদীতে নামতে না পারায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার নারী ও পূরুষ শ্রমিকরা। ফলে তাদের এখন অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি নদী তীরবর্তী গ্রাম ও হাটবাজারগুলো ধবংসের হাত থেকে রক্ষা করার দাবী জানানো হয়।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী গোলাম মিয়া জানান,স্থানীয় একটি প্রভাবশালীচক্র রাতের আধাঁরে এই অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। কিন্তু পুলিশকে জানানোর পরও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অবিলম্বে যাদুকাটার নদী তীরবর্তী গ্রাম,হাটবাজারগুলো রক্ষায় অবৈধ ড্রেজার মেশিনের তান্ডব বন্ধ করতে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন নদী তীরবর্তী গ্রামের মানুষজন।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার এহসান শাহ জানান,জেলা প্রশাসন আছে তাই অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় উনার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
মোঃ আব্বাস ়