এস,এম শাহাদৎ হোসাইন গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দাদন ব্যাবসায়ি দাপটে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। সুদের টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার সর্বত্রই দাদন ব্যাবসায়িদের দাপটে অনেক পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কৃষক,ব্যাবসায়ি,শ্রমিক,চাকুরিজীবীরা সাংসারিক ঝামেলার কারনে অনেকে দাদন ব্যাসায়িদের নিকট থেকে চড়াসুদে টাকা নেয়। অনেক চাকুরিজিবী তাদের নামিয় ব্যাংক চেক দিয়ে দাদনের টাকা গ্রহন করেন। এসময় তাদের নিকট থেকে ৩শত টাকা মূল্যের ননজুডিশিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় অনেক দাদন ব্যাবসায়ি। দাদনের টাকা দিতে কোন রকম সময়ের হেরফের হলেই তাদের চাহিদামত টাকার অংক লিখে ব্যাংক শাখায় জমা দিয়ে চেক ডিজঅর্নার করে নেয়। কিছু ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করেন বলে অনেকের অভিযোগ আছে। এ ছাড়াও চেক জালিয়াতি করে এক জনকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেছে এক দাদন ব্যাবসায়ি। চন্ডিপুর গ্রামের মৃত্যু শওকত আলীর পুত্র কলেজ শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে সীচা গ্রামের মৃত্যু সাহাব উদ্দিন ডাকুয়ার পুত্র সুদখোর শাহ আলম ডাকুয়া (মিঠু) সোনালী ব্যাংক লিঃ সুন্দরগঞ্জ শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নং ৫১১০০০২১০১১১৯ এর অনুকুলে ৬ লক্ষ টাকার চেক ডিজঅর্নারের অভিযোগ এনে সহকারী জজ আদালত,গাইবান্ধায় এনআই এ্যাক্ট সেকশনে একটি মামলা দায়ের করেন যাহার নম্বর ৩৩০/২০। এ বিষয়ে কলেজ শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জানান উল্লেখিত সঞ্চয়ী হিসাব নং ও চেক নং ৬৪৮৯৯২৫ পাতাটি আমার নামিয় নয় যাহা উল্লেখিত ব্যাংক ম্যানেজার নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন আমার বিরুদ্ধে হয়রানি মূলোক মামলা করে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করা হয়েছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]