গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিনে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের ঐতিহাসিক স্থান কাশিমবাজার এলাকায় শতাধিক পরিবার ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙনের মুখে রয়েছে নদী তীরের শত-শত ঘরবাড়ি। এছাড়াও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ি, পাঁচপীর খেয়াঘাট, তারাপুর ইউনিয়নের খোদ্দা, লাঠশালা ও হরিপুর ইউনিয়নের কাশিমবাজার খেয়াঘাটসহ কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী বলেন বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে গত কয়েক দিনের ব্যবধানে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাশিমবাজার এলাকার শতাধিক পরিবারের বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙন অব্যাহত থাকলে ঐতিহ্যবাহী নাজিমাবাদ বিএল উচ্চ বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। পাশাপাশি নিঃস্ব হবে নদী তীরের শতশত পরিবার। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি বলেন, হরিপুর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে কাশিমবাজার, লখিয়ারপাড়া, মাদারীপাড়া, চর চরিতাবাড়ী, চরিতাবাড়ী গ্রামে শতাধিক বসতবাড়ী ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন কবলিত পরিবাগুলো আতœীয় স্বজনের বাড়ি ও খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাশিমবাজার এলাকায় ভাঙন অব্যাহত থাকায় ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]