মেহেদি হাসান নয়ন বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি
মেহেদি হাসান নয়ন বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের কালিরচরের পার্শ্ববর্তী ছেদনখালী খালের চরে অবমুক্ত করা হয়েছে মহাবিপন্ন প্রজাতির ১২ টি ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপ। ২৫ মে বুধবার বিকালে এ কচ্ছপ গুলো অবমুক্ত করা হলেও ২৬ মে বৃহষ্পতিবার দুপুরে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ তথ্য জানান। কচ্ছপগুলি অবমুক্ত করার সময় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার, অষ্টিয়ার ভিয়েনা জু’এর কিউরেটর টনি সহ বন বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আজাদ কবির আরও জানান সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে থেকে ১০টি ও ভারত থেকে চলে আসা খুলনা-পটুয়াখালী থেকে উদ্ধার করা ২টি ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপ সহ মোট ১২ টি কচ্ছপ সুন্দরবনের ছেদনখালী খালের চরে অবমুক্ত করা হয়েছে। তিনি জানান একটা সময় ছিলো যখন সুন্দরবনের এ ধরনের ঈষৎ লবনযুক্ত পানির কচ্ছপ ছিলো। বর্তমানে এ ধরনের কচ্ছপ আর দেখা যায় না। সুন্দরবনের কোথাও এ ধরনের কচ্ছপ আছে কি না, তা খুঁজতে ও কচ্ছপের চলাফেরা ও গতিবিধি জানার জন্য এ ১২টি কচ্ছপ অবমুক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য ২০১৪ সালে সুন্দরবনের করমজলে কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৭ সালে সংগ্রীহিত কচ্ছপ ডিম পাড়া শুরু করে। এ পর্যন্ত ৩২৭ টি ডিম থেকে ২৭৪ টি বাচ্চা পাওয়া গেছে। বর্তমানে বিভিন্ন বয়সী মোট ৩৮৭ টি কচ্ছপ আছে । এর মধ্যে ২০১৭ সালে ২টি ২০১৮ সালে ৫টি, ২০১৯ সালে ৫টি কচ্ছপ সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়। করোনা মহামারির জন্য ২০২০ ও ২০২১ সালে সুন্দরবনে কোন কচ্ছপ অবমুক্ত করা হয়নি।