নুরুল আমিন,
মানুষই সমাজ-সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে, আর পরবর্তীতে অনেক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। নিয়ন্ত্রক ও স্রষ্টার যে ভূমিকা তা থেকে নিয়ন্ত্রিত হবার পরিণতি অনেকের হয়ে থাকে। এভাবেই মানুষের নানান ধরনের আচরণ পরিলক্ষিত হতে দেখি। স্বাভাবিক আচরণ আর ‘অস্বাভাবিক আচরণ’ বলে মানব আচরণকে গ্রহণযোগ্যতার আলোকে দুভাবে দেখা হয়। একজন বা একা যেটাকে স্বাভাবিক আচরণ ভাবছে আরেকজন বা আরেকটি ঐ সেটাকেই অস্বাভাবিক আচরণও ভাবতে পারে।
কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো আমরা আমাদের সমাজে কতটুকু স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করতে পারছি?আমরা আমাদের এই সমাজকে কি উপহার দিতে পেরেছি? আমাদের সমাজের নিন্মশ্রেনির মানুষকে কতটুকু মানবতা ও সহানুভূতি দেখাতে পেরেছি? জানি-অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষ গুলো সহজে আলোর মুখ দেখতে পায়না, কেননা তারা গরীব বলে অধিকাংশ মানুষ তাদের অবহেলা করে সমাজের বিভিন্ন কিছু তারা বঞ্চিত, আমরা তাদের অবহেলা করি বলে তারা আজ অবহেলিত।আমরা কি পারিনা এই সুবিধাবঞ্চিত মানুষ গুলোর দিকে ভিন্ন দৃষ্টিতে তাকাতে-মানবতার হাত বাড়িয়ে দিতে-একটি সুন্দর সমাজ উপহার দিতে, কিন্তু আমরা চাইলে সবই পারি এবং সম্ভব।একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে আমাদের সজাগ থাকতে হবে, আমাদের নিজ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
আর যদি উদ্যোগ গ্রহণ করি, তাহলে সামাজিক যোগাযোগ দক্ষতাকে বাড়িয়ে বাড়িয়ে তুলতে হবে,নিজেকে প্রতিনিয়ত সামাজিক ক্ষেত্রে দক্ষ করে তুলতে হবে।আর আমরা যদি আমাদের প্রতিভাকে কাজে লাগাতে চাই, তবে অবশ্যই আমাদের যোগাযোগ ক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে।আমরা যখন প্রতিভাবান মানুষের সংস্পর্শে আসব, তাদের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করব, এক্ষেত্রে আমাদের যোগাযোগ দক্ষতা আমাদের অনেক কাজে দেবে।মনে রাখবে নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে শিখ,তোমার নিজের সিদ্ধান্তগুলো সবসময় নিজে নেয়ার চেষ্টা করবে, নিজের জীবনের ক্ষেত্রে প্রতি ধাপেই নানান সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে তোমাকে। সেক্ষেত্রে তোমার অন্য কারো উপর নির্ভর করার সুযোগ নেই।
প্রত্যেককে যার যার অবস্থান থেকে সমাজিক কিংবা নিজের জীবন পরিবর্তনের জন্য উদ্যোগী হতে হবে। নেতৃত্বের বিকাশ ঘটাতে হবে নিজেকে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে। আসুন আজ আমরা সমাজিক পরিবর্তনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হই। তাহলেই আমাদের জীবন হবে আরো সহজ, আরো সুন্দর। সুতরাং, নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য নিজেদেরকেই উদ্যোগী হতে হবে, নিজেদেরকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। অতএব আর বিলম্ব নয়। আসুন পরিবর্তন আনায়ন ও লক্ষ্য অর্জনের নিমিত্তে এখনই আমরা কাজে নেমে পড়ি।
আমাদের সব কাজের আগের কাজ, নিজেদের মানষিকতা পরিবর্তন করা। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা সত্য ও ন্যায়ের পথকে আকড়ে ধরুন, অন্যায় ও অসত্যকে পরিহার করুন।একটি সুস্থ সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।এ ধরনের নানান-দ্বিমুখী, পথে-বিপথে কথাবার্তা, দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে এটাই বাস্তবতা। আর এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে দ্বন্দ্বমুখর মানব জীবন, সমাজ জীবন, সাংস্কৃতিক জীবনের গতিধারা প্রবাহমান থাকবে, অব্যাহত থাকবে। তবে সুন্দর সমাজ গঠনে সুস্থ দেহ ও সুন্দর মনের মানুষের বিকল্প নেই ।
৩৯ views