1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. tamimshovon@gmail.com : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. sheikhmihadbabu@gmail.com : cmlbru :
  4. mintuchattagram@gmail.com : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. rakibw305@gmail.com : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. shahidur068@gmail.com : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. kmsiddik07@gmail.com : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. shamratjhenaidah@gmail.com : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. md.alamgir.nuhalalg00@gmail.com : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. mdruhel66@gmail.com : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. fajlurrahaman024@gmail.com : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. rubelusa1@gmail.com : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২২ অপরাহ্ন

সেই আদি যুগের শিকারি, অপরিবর্তিত জীবনমান

এস এম শাহাদৎ হোসাইন গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

এস এম শাহাদৎ হোসাইন গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ সেই আদি যুগের শিকারি। পরিবর্তন হয়নি তাদের জীবনমান। পূর্বপুরুষদের সেই দলবদ্ধ ভাবে বসবাস করার নিয়মটা এখনো ধরে রেখেছে সাঁওতাল সম্প্রদায়। অন্যান্য জাতি-গোত্রের তুলনায় অনেকটাই বেশি একতাবদ্ধ ভাবে বসবাস করে এই সম্প্রদায়। সাঁওতাল সম্প্রদায়ের ২২ সদস্যের একটি দলের দেখা মেলে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট এলাকায়। তাদের বাড়ী রংপুরের পীরগঞ্জের চতরাহাট এলাকার অনন্তপুর গ্রামে। হেঁটে ১৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে এসেছে শিকারের সন্ধানে। সাঁওতালদের দলটি শিকারের সন্ধানে চলছে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। ঝোঁপ-ঝাড়ে, জঙ্গলে যেখানে রয়েছে শিকারের আনাগোনা। সারাদিন শিকার খুঁজে পেয়েছে মাত্র একটি গারোয়া বা বন বিড়াল নামক প্রাণী। যার ওজন ৭/৮ কেজি। তাদের কারো হাতে তীর-ধনুক, কারো হাতে লাঠি, কারো হাতে বল¬ম (শুলপি)। সঙ্গে রয়েছে দুটি পোষা কুকুর। এ দলের সদস্য রা¤পা, রঘুনাথ, বিশ্বনাথ মুরমুর বলেন, বাবু আমাদের আর পোষায় না। আগের মতো বন-জঙ্গল নেই। তাই শিকারের (গারোয়া বা বন বিড়াল, বড় ইঁদুর, কাঠ বিড়ালি, বেজি, কুচিয়া মাছ, খরগোশ) দেখা পাওয়া যায় না। যদিও দুই-একটি কপাল গুণে দেখা মেলে, এতোগুলি লোক নিয়ে তা ধরে পোষায় না। তাই আমরা এখন অনেকেই পরের জমিতে কৃষিকাজ করি। কাজকর্ম না থাকলে শখের বসে দলবদ্ধ হয়ে শিকারের সন্ধানে বের হই। আর মহিলারা বাঁশঝাড়, বন-জঙ্গলে মাটির নিচ থেকে আলু তুলে। এসব খেয়ে পরেই পরিবার পরিজন নিয়ে কোনমতে বেঁচে আছি। এখন আমরা কিছু কিছু সরকারি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি।আমরা ভোটাধিকার পেয়েছি। মেম্বার, চেয়ারম্যান-এমপি নির্বাচনে ভোট দিতে পারি। সব মিলে বেঁচে আছি। শিকার ধরার কৌশলাদি জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের চোখ আর তীরের নিশানা মিস হয় না। প্রথমে শিকারকে লক্ষ্য করে হাতের তীর ছুড়ে মারি। এতে শিকার গর্তে ঢুকে গেলে শাবল দিয়ে মাটি খুড়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে শিকারকে আহত করি। আর যদি শিকার দৌড়ে পালাতে চায় তাহলে আমাদের সাথে থাকা পোষা কুকুরকে লেলিয়ে দেই। পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য রক্ষায় দলবদ্ধ ভাবে শিকারের সন্ধানে বেড় হই। উল্লেখ্য, দেশ স্বাধীনের সময় সাঁওতালরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ সাঁওতাল সম্প্রদায়ের তীর-ধনুক পরিচালনায় পারদর্শী বেশ কিছু যুবক রংপুরে পাক সেনাদের ক্যা¤প আক্রমণ করেছিল। যা রংপুরের প্রবেশদ্বার মর্ডান মোড়ে মুক্তিযোদ্ধা ফলকে আজও দৃশ্যমান। তবে স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়ন হলেও উন্নয়ন হয়নি সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর।

Facebook Comments
no views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি