আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে থ্রি হুইলার গাড়ি বাজারে আনতে যাচ্ছে মোটরসাইকেল শিল্পে দেশের প্রথম মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান রানার। এরপরে এই ইঞ্জিন চালিত গাড়ির বদলে আসবে প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যুত চালিত থ্রি হুইলার। তখন আর বাংলাদেশকে বিদেশ থেকে সিএনজি আমদানি করতে হবে না।
এরপর ধাপে ধাপে আসবে সাশ্রয়ী মূল্যের টেকসই বিদ্যুত চালিত দুই চাকা ও চার চাকার গাড়ি।
এভাবেই রানার বাংলাদেশের টেসলা হয়ে উঠবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত রানার অটোমোবাইল কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, রানার অটোমোবাইল কারখানাকে গবেষণা ও উন্নয়নে সহায়তা করবে আইসিটি বিভাগের এটুআই এর ‘আই ল্যাব’। সরকারের নীতিগ সহায়তাতেই রানার দেশে তৈরি মোটর গাড়ি রপ্তানিও করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পলক বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে এভাবেই ২০৪১ সাল নাগাদ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার পর বাংলাদেশে বিশ্বে অন্যতম সম্ভাবনাময়ী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে।
তিনি আরো বলেন, দেশে তৈরি ইলেকট্রিক গাড়িগুলো যেন সহজেই নিবন্ধন পায় সেজন্য তিনি শিগগিরি বিষয়টি নিয়ে সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। আমরা এখনই ইলেকট্রিক ভেহিকেল বাতিল করতে পারব না।
তিনি বলেন, সস্তা, খারাপ গুনগত মানের গাড়ি বিদেশ থেকে আমদানি না করে দেশেই সাশ্রয়ী ও গুণগত মানের ইলেকট্রিক ভেহিকেল নিবন্ধন দিলে এতে সরকারের রাজস্ব বাড়বে এবং যোযোগাযোগ খাত শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বিগত ১৩ বছরে দেশে ‘ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ’ সৃষ্টি হওয়ায় এখন রানারের মতো প্রতিষ্ঠান মাত্র দুইজন বিদেশিসহ দেশের এক হাজার ৯৯৮ জন তরুণ প্রকৌশলী ও কর্মকর্তা নিয়ে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হচ্ছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
প্রতিমন্ত্রী বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রথম ভার্সন কারখানায় গিয়ে তা দেখে সাংবাদিকদের সামনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মুনিরা সুলতানা ও এটুআই এর পলিসি এডভাইজার আনীর চৌধুরী, রানার অটোমোবাইল এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজ ও ফারহানা আহমেদ মনি।