শুরুর একাদশে ফিরে জ্বলে উঠলেন অলিভিয়ে জিরুদ। করলেন দারুণ এক হ্যাটট্রিক। ফরাসি ফরোয়ার্ডের নৈপুণ্যে সেভিয়াকে তাদের মাঠেই উড়িয়ে গ্রুপ সেরা হলো চেলসি। সেভিয়ায় বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে ৪-০ গোলে জিতেছে ইংলিশ দলটি। আগের রাউন্ডে দুই দলই টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বের টিকেট নিশ্চিত করেছিল।
প্রিমিয়ার লিগে গত রবিবার টটেনহ্যামের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র ম্যাচের দলে নয়টি পরিবর্তন এনে খেলতে নামা চেলসি ৮ম মিনিটেই এগিয়ে যায়। কাই হার্ভাটজের পাস ডি-বক্সে পেয়ে দারুণ শটে ঠিকানা খুঁজে নেন জিরুদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আগের ম্যাচে রেনের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নেমে যোগ করা সময়ে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন তিনি। ২৪তম মিনিটে সমতায় ফেরার ভালো একটি সুযোগ পেয়েছিল সেভিয়া। তবে ইভান রাকিতিচের বাড়ানো বলে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি হেসুস নাভাস। ২৮তম মিনিটে ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকের শট ফিরিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি সেভিয়া গোলরক্ষক। একটু পর কর্নারে আন্টোনিও রুডিগারের হেড গোললাইন থেকে ফেরান এক ডিফেন্ডার।
আক্রমণের ধারাবাহিকতায় ৫৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মৌসুমে মাত্র দ্বিতীয়বার শুরুর একাদশে নামা জিরুদ। মাতেও কোভাচিচের বাড়ানো বল ধরে সঙ্গে লেগে থাকা একজনকে পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।
৭৪তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করে দলকে বড় জয়ের পথে এগিয়ে নেন জিরুদ। ডান দিক থেকে এনগোলো কঁতের ক্রসে হেডে বল জালে পাঠান তিনি। আর ৮৩তম মিনিটে সফল স্পট-কিকে দলের ও নিজের চতুর্থ গোলটি করেন ৩৪ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে তিনি নিজে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।
পাঁচ ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে চেলসির হলো ১৩ পয়েন্ট। তিন জয় ও এক ড্রয়ে সেভিয়ার পয়েন্ট ১০। আরেক ম্যাচে রেনকে ১-০ গোলে হারানো ক্রাসনোদার ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে। রেনের ১ পয়েন্ট।