ঘটনার বিবরণে জানা যায়, চরসোনাপুর গ্রামের শাহাব উদ্দিন মিকারের বাড়ীতে পুর্ব বিরোধের জের ধরে (জায়গার সীমানা বিরোধ) একই বাড়ীর নিজাম উদ্দিনের সাথে বিবি খতিজা বেগমদের সাথে দীর্ঘ দিন পাল্টাপাল্টি মামলা মোকাদ্দমা চলে আসছে। ইতিপূর্বে একাধিকবার উভয়পক্ষের মাঝে মারামারি ও হাতাহাতিসহ একে অপরকে হুমকি ধমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
উভয় পক্ষের বিরোধ কে কেন্দ্র করে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আপোষ মীমাংসার স্বার্থে একাধিক বার শালিস বৈঠক হয়। শালিসে উভয় পক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তির স্বার্থে উভয় পক্ষকে আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে মিলমিশ করিয়ে দেওয়া হয়। পক্ষগণ প্রয়োজন মনে করিলে শালিসের মাধ্যমে বিরোধপূর্ণ জায়গা পরিমাপ করিয়ে যার যার জায়গা তাকে বুঝিয়ে দেওয়া ও পানি চলাচলের পথ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে বলে শালিসনামায় উল্লেখ করা হয়।
প্রতিপক্ষ নিজাম উদ্দিন গং শালিসনামা অমান্য করে সোনাগাজী মডেল থানা ও ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিধবা খতিজা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হয়রানি মুলক মামলা দায়ের করে। এতে ফকির আহমদ, সিরাজ, ইব্রাহিম, হারুনসহ অসহায় বিধবা খতিজা বেগম ও পরিবারের সদস্যদের আসামি করা হয়। তারা মামলায় জেল খেটে জামিনে মুক্ত হয়।
বিধবা খতিজা বেগম জানান- সর্বশেষ গত ১৬ ই অক্টোবর দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার সময় আমরা আমাদের বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়লে কেবা কাহারা আমাদের বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করে। এতে আমরা দিস পেয়ে শৌর চিৎকার করিলে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নিবিয়ে পেলে। তাৎক্ষণিক আমরা বড় দুর্ঘটনা থেকে পরিবারের সবাই রেহাই পাই। আমি বিধবা ও আর্থিক অস্বচ্ছল হওয়ার কারণে প্রতিপক্ষের সাথে মামলা মোকাবিলা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি এর বিহিত প্রতিকারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
স্থানীয় সমাজপতি হুমায়ুন মেম্বার জানান- বিধবা খতিজা বেগম এবং তার পরিবারের সদস্যরা অসহায় ভাবে জীবন যাপন করছে। প্রতিপক্ষ আর্থিক স্বচ্ছল হওয়ায় সামাজিক শালিস বিচার অমান্য করে থানা এবং আদালতে মামলা দায়ের করে এই অসহায় পরিবারটিকে হয়রানী করছে।
প্রতিপক্ষ নিজাম উদ্দিনের মা হালিমা খাতুন জানায়- তাদের ঘরে আমরা আগুন লাগাইনি, তারা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]