সোনারগাঁও কারুপল্লীতে বরাদ্দকৃত স্টল বন্ধ থাকার অভিযোগ
মোঃ ঝুমন মিয়া সোনারগাঁও প্রতিনিধি
আপডেট :
মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২২
মোঃ ঝুমন মিয়া সোনারগাঁও প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এর কারুপল্লীতে বরাদ্দকৃত অধিকাংশ স্টল বন্ধ থাকার অভিযোগ এনে গত ০৬/১২/২০২২ইং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে ১৩ জন কারুশিল্পীর পক্ষে আসমা বেগম স্বারকলিপি প্রদান করেন। স্বারকলিপি থেকে জানা যায়, প্রকৃত ১৩ জন কারুশিল্পীর তাদের বরাদ্দকৃত স্টল না দিয়ে ২০২০ সালে তৎকালীন পরিচালক ড. আহম্মদ উল্লাহ যে সকল শিল্পীদের স্টল বরাদ্দ দেন তাদের মধ্যে মানিক সরকার, রতন পাল, বিরন্দ্র তারা ফাউন্ডেশনের নিয়ম ভেঙ্গে মাসের পর মাস স্টল বন্ধ রাখেন। শুধু পারভিন আক্তার এবং চিন্তাচরণ তাদের নিজস্ব কর্মচারীর মাধ্যমে স্টল পরিচালনা করেন। তাই প্রকৃত কারুশিল্পীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। স্বারকলিপি থেকে আরো জানা যায়, কারুশিল্পী সেলিনা আক্তার, হাবিবুুর রহমান ডালিম, সামসুন নাহার, মোঃ রায়হান সুজন, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, আসমা বেগম, হাবিবুর রহমান, রুবিনা আক্তার, মোঃ সালাউদ্দিন, মোঃ আনোয়ার জামান, নারগিস আক্তার ও আলাউদ্দিন ১৩ জন কারুশিল্পী ২০১২-১৩ সালে দুই বার বরাদ্দ পান। কারুপল্লীর স্টল নিয়ে উচ্চ আদালতে অন্য একটি মামলা থাকার কারণে কারুশিল্পীরা স্টল পরিচালনা করতে পারেন নাই। তাই ১৩ কারুশিল্পীর মধ্যে সেলিনা আক্তার, হাবিবুর রহমান ডালিম, সামসুন নাহার, মোঃ রায়হান সুজন, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ মনিরুজ্জামান মনির ও আলাউদ্দিন সহ ৭ জন কারুশিল্পীকে সাবেক পরিচালক কারুশিল্প গ্রামে স্টল পরিচালনা করার অনুমতি দেয়। কিন্তু ২০২০ সালে সদ্য সাবেক পরিচালক ড.আহম্মদ উল্লাহ তাদের বরাদ্দকৃত স্টল বুঝিয়ে না দিয়ে ৭ জন কারুশিল্পীকে জোরপূর্বক আনসার বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে শিল্পপল্লী থেকে বের করে দেয় এবং কারো কারো মালামাল জব্দ করে। তাই ২০২১ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারী হাইকোর্টের বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চে ১৩ জনের পক্ষে কারুশিল্পী সেলিনা আক্তার একটি রিট পিটিশন (রিট- ৯৮৪৬/২০২০) করেন। রিটে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এর পরিচালক ও রেজিষ্ট্রেশন কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়।