আরশাদুল ইসলাম কেশবপুর যশোর প্রতিনিধিঃ যশোরের কেশবপুরে দীর্ঘ দিন বৃষ্টির পানি না হওয়ায় প্রখর রোদ ও অতিরিক্ত খরায় নদী-নালা,খাল-বিল শুকিয়ে পানি শূন্য হওয়ায় বাংলার সেই সোনালি আঁশ এখন কৃষকের গলার মরন ফাঁসে পরিনত হয়েছে।কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে,পানি সংকটের কারনে পাট চাষীরা পাট কেটে তা পানিতে পচন দিতে না পেরে জমিতেই ফেলে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন।অনেকেই আবার পাট কেটে পরিবহন যোগে বাড়তি খরচ করে খাল-বিলের বিভিন্ন নিচু জায়গায় স্যালো মেশিনের মাধ্যমে পানি দিয়ে পাট পচন দিতে বাধ্য হচ্ছেন।এতে পরিবহন,পানি সেচ ও শ্রমিক বাবদ পাট উৎপাদন কাজে বাড়িতে খরচ করতে হচ্ছে।এ ছাড়াও তীব্র খরা ও পানি সংকটের কারনে ধান ও বিজতলা নিয়েও বিপাকে পড়েছে কৃষকরা।তীব্র তাপদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে পুড়ছে পাটক্ষেত,শুকিয়ে যাচ্ছে পাটগাছ।মাটি ফেটে চৌচির সব মিলিয়ে বলা যায় যে,কেশবপুরে বাংলার সেই সোনালি আঁশ এখন কৃষকদের গলার মরন ফাঁস।উপজেলার ১০ নং সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের জাহানপুর গ্রামের পাট চাষী আতিয়ার সরদার বলেন, এ বছরে আমার ২ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে, কিছু পাট কেটে রাস্তার পারে রোদে শুকাচ্চে পর্যাপ্ত পানি না থাকার কারনে জাগ দিতে পারছিনা।পাটের ফলন ৩০ থেকে ৪০ মণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আমি পানির অভাবে পাট জাগ দেয়া নিয়ে চিন্তার মধ্যে আছি।বাড়ীর পাশের পুকুরও শুকিয়ে গেছে, সম্ভাবত স্যালো মেশিন দিয়ে পুকুর টা পানি দিয়ে পূর্ণ করে তারপর পাট জাগ দিতে হবে।সাতবাড়িয়া ১০ নং ইউনিয়নের ভাল্লুক ঘর গ্রামের সাবেক মেম্বার আজিজুর রহমান বলেন পানির অভাবে পাট পচন দিতে পারছিনা শিখার পুর গ্রামের আজিজুর রহমান বলেন পাটের ফলন ভাল কিন্তু পাট পচন দিতে পারছিনা কারন পানির অভাবে। শ্রীরামপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ গাজী জানান,আমি পাট কেটে জমিতে রেখে দিয়েছি কিন্তু জাগ দেওয়ার কোন জায়গা না পেয়ে জমিতেই ফেলে রেখেছি যার ফলে পাট গুলো রোদে শুকিয়ে লাল হয়ে শক্ত হয়ে গেছে এখন বাড়তি খরচ করে খালবিলের নিচু জায়গায় পানি সেচ দিয়ে জাগ দিতে হবে এতে পাট উৎপাদনে লাভের অংশ পিপড়াই খাবে।কেশবপুর উপজেলার মূল গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদআলী বলেন, আমাদের মাঠে এবছর প্রায় দেড় শ বিঘা জমিতে পাট চাষ হয়েছে,কিন্তু জাগ দেওয়ার জায়গা না থাকায় কেউ কাটতে পারছেন না।এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি সম্প্রশারণ কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন,কেশবপুর উপজেলায় পাট চাষে এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে।মাঠে মাঠে পাটের অবস্থাও ভাল।এখন পাট কাটার সময় চলছে।কিন্তু বৃষ্টির অভাবে কৃষক পাট নিয়ে হতাশায় রয়েছেন। মৃদু তাপদাহ চললেও আপাতত বৃষ্টির সম্ভবনা নেই। আমরা কৃষকদের রেটিং পদ্ধতিতে পাট পচানোর পরামর্শ দিচ্ছি।এতে যেমন খরচ কম তেমনি পাটের মানও ভালো থাকে।কেশবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ঋতুরাজ সরকার বলেন, এ বছর উপজেলার পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]