আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে বলা হয় মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই চালানো হয়েছে তুরস্কের দূতাবাসের হত্যাকান্ড । পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে রিয়াদ-ওয়াশিংটন সম্পর্ককে সঠিক পথে রাখতেই এ উদ্যোগ। কেননা যুবরাজের ওপর নিষেধাজ্ঞার নামে বাড়তে পারে নাটকীয়তা। যা সৌদি আরবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব খর্ব করতে পারে।
গেলো ২৬ ফেব্রুয়ারি, ৭৬ সৌদি কর্মকর্তাকে নো-ট্র্যাভেল তালিকায় রাখে মার্কিন প্রশাসন। একইসাথে খাশোগি হত্যা-সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজনদের ওপর দেয় নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু সেসব তালিকা থেকে বাদ পড়েন যুবরাজ। অথচ এর আগেই তদন্ত প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে বলা হয় মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই চালানো হয়েছে এ হত্যাকাণ্ড। যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানান, জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড স্পষ্টভাবে অগ্রহণযোগ্য। কিন্তু একই সময় সৌদি আরবের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখাটাও জরুরি। মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের পারস্পরিক এবং মৌলিক ইস্যুগুলো সমাধানেই প্রয়োজন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। আর আরব বিশ্বের ওপর সৌদির বেশ প্রভাবও রয়েছে। তাই যুবরাজকে শাস্তি দিয়ে সম্পর্কচ্ছেদে যেতে চায় না বাইডেন সরকার।