এইচএম নবীন, ঝালকাঠি বিশেষ প্রতিনিধি:স্বাধীনতার ৫০ বছরেও তৈরি হয়নি রাস্তাঘাট। এখনও সাঁকো পেরিয়েই করতে হয় যাতায়ত। তার ওপর বর্ষায় ডুবে থাকে পথঘাট। একমাত্র নৌকাতেই গ্রামবাসীর বর্ষায় যাতায়াত। চরম দুর্ভোগে শিক্ষার্থীসহ অসংখ্য হাজারো গ্রামবাসী। এই ডিজিটাল যুগেও এ চিত্র চোখে পড়বে ঝালকাঠি সদর উপজেলার কাফুরকাঠি গ্রামে। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান বলছেন, রাস্তা নির্মাণে প্রকল্প জমা দেয়া হয়েছে।স্বাধীনতার ৫০ বছরেও গড়ে ওঠেনি সড়ক যোগাযোগ। বর্ষা মৌসুমে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যেতে হয় নৌকাতেই। ভাবতে অবাক লাগলেও এটি ঝালকাঠি সদর উপজেলার কাফুড়কাঠি গ্রাম। জেলার সীমান্তবর্তী এ গ্রামটি পিরোজপুর জেলার কুড়িয়ানা এবং বরিশাল জেলার বানারীপাড়ার লাগোয়া। গ্রামটিতে ৫’শ পরিবার রয়েছে। শিক্ষা-দীক্ষায়ও এগিয়ে। রয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়। অসংখ্য শিক্ষার্থী স্কুলে পড়ছে। পথঘাট না থাকায় বর্ষা মৌসুমে চরম ভোগান্তি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় তাদের। আর অসুস্থ রোগী পরিবহনের কথাতো ভাবাই যায় না। কিন্তু কৃষি ক্ষেত্রে এ গ্রামের মানুষের অনেক অবদান রয়েছে। বর্ষা মৌসুমজুড়ে পেয়ারা আর আমড়া ছাড়াও বারোমাস এখানকার অসংখ্য কৃষক শাখ-সবজি ফলিয়ে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের বাজারগুলোতে যোগান দেয়। সীমাহীন দুর্ভোগে গ্রামবাসীর ক্ষোভের শেষ নেই।স্থানীয় চেয়ারম্যান এ দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে পাকা রাস্তা নির্মাণে প্রকল্প জমা দেয়া হয়েছে বলে জানান।মো. মজিবুল হক আকন্দ, চেয়ারম্যান, ৩ নং নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ, ঝালকাঠি।কৃষি প্রধান এই কাফুড়কাঠি গ্রামটিতে তিন হাজার লোকের বসবাস রয়েছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]