সুফিয়া মতিন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সুলতান আহমেদ ভূইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগটি দায়ের করেছেন এক ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীর পিতা সাংবাদিক মোতাব্বির হোসেন।
৭ নভেম্বর সকাল ১১ টায় হবিগঞ্জ দুদকের উপপরিচালকের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
চলতি এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আটকিয়ে অতিরিক্ত ক্লাসের নাম করে অতিরিক্ত ১ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগে পরীক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ‘র কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
২ নভেম্বর অভিযোগ পেয়ে ইউএনও তাৎক্ষনিকভাবে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওই কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদ্মাসন সিংহ‘র নির্দেশ না মেনে অধ্যক্ষ পরদিন ৩ নভেম্বর ছাত্রীদের নিকট থেকে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর রেখে প্রবেশপত্র বন্টন করেন।
অভিযোগ রয়েছে ২০২১ সালে ওই কলেজে যোগদানের পর থেকেই কলেজ পরিচালনা পরিষদ ও শিক্ষকদের পাশ কাটিয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও আর্থিক কেলেঙকারীতে জড়িয়ে পড়েন অধ্যক্ষ।
চলতি বছরে অধ্যক্ষ নিজের এমপিওভূক্তির কাজে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে গিয়ে অফিস আদেশ ছাড়াই ২ লক্ষ টাকার মত ভ্রমন বিল উত্তোলন করেছেন।
এ নিয়ে অভিযোগ উঠায় অডিট কমিটি বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে অডিট রিপোর্ট তৈরি করছেন।
দুদকের অভিযোগ থেকে জানা যায়,চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় সরকার নির্ধারিত ফি‘র চেয়ে তিনগুন বেশি ফি আদায় করেছেন।
অনেকের কাছ থেকে বেশী টাকা আদায় করে কম টাকার রশিদ প্রদান করেন। তিনি কলেজে যোগদানের পর থেকেই সাপ্তাহিক পরীক্ষা চালু করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিনা রশিদে টাকা আদায় করেন। ম্যানেজমেন্ট ফি একা একাই নিয়ে যান।অনার্সের অভ্যন্তরীন পেপার বিক্রির টাকা নিজেই তুলেন নিজেই নিয়ে যান।
তিনি ছাত্রীদের আইডি কার্ড বাবত জনপ্রতি ১শ ৫০ টাকা নির্ধারণ করে নিজেই তৈরি করেন এবং নিজেই দাম নির্ধারণ করে টাকা তুলে নিয়ে যান।
চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় ফরম ফিলাপের জন্য ৩ হাজার ৯শ টাকা নির্ধারণ করে আদায় করেন। যা ম্যানেজিং কমিটি অবগত না।
সহকর্মী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটিকে না জানিয়ে যখন তখন কলেজের হিসাবরক্ষকের নিকট থেকে উত্তোলন করে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী মোতাব্বির হোসেন জানান, আমি একজন শিক্ষার্থীর অভিবাভক হিসেবে আমার দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে অভিযোগ করেছি। উল্লেখিত অভিযোগ ছাড়াও আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে ওই অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে। কর্তৃপক্ষ চাইলে যেকোন সময় তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে পারেন।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সুফিয়া মতিন মহিলা কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদ্মাসন সিংহ বলেন, কলেজের ম্যানেজিং কমিটি অধ্যক্ষের অনেক সিদ্ধান্ত‘র ব্যাপারেই জানেন না। তিনি নিজে নিজেই অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা আমি সহ কলেজ কমিটির সদস্যরা জানেন না।