৫ ডিসেম্বর সোমবার বিকাল ৩টায় বানিয়াচং উপজেলার ১ নম্বর উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের নূর মামদ মিয়াকে জরিমানা করা হয়। বানিয়াচং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফফাত আরা জামান ঊর্মি'র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সত্যতা জানিয়ে বলেন, তারা (নূর মামদ গং) বিনা অনুমতিতে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি মাটি উত্তোলন করছিলেন। এজন্য মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অর্থদণ্ড করে আদায় করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মজলিশপুর গ্রামের নূর মামদ ও তার ভাইয়েরা মিলে সরকারি খাল দীর্ঘদিন যাবত দখল করে রেখেছেন।
ইদানীং সেই খাল আংশিক ভরাট করে পুকুর তৈরি করা সহ পুকুরের পাড় নির্মাণ করছিলেন।
এ ব্যাপারে মহল্লার সর্দার আনোয়ার হোসেন বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে ১৪ ফেব্রুয়ারি ও হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে ১৫ সেপ্টেম্বরে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে জানা যায়, মজলিশপুর গ্রামের নূর মামদ তার ভাই বিএনপি নেতা জালাল মামদ ও চাচাতো ভাই তৌহিদ মিয়া গং খুন পরসম্পদ আত্মসাৎ সহ সকল ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত।
ইতিমধ্যে নূর মামদ গং মজলিশপুর মৌজার ১ নম্বর খতিয়ানের ৩৪৫৩ দাগের খাল রকম ভূমি কে বিগত সেটেলমেন্ট জরিপে অসৎ উদ্দেশ্যে শ্রেনী পরিবর্তন করে পুকুর শ্রেনী হিসেবে রেকর্ডভূক্ত করে।
বর্তমানে সেই খাল কে পুকুরে রুপান্তরিত করার জন্য প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া বালি উত্তোলন করে একাংশ ভরাট করা সহ পুকুরের পাড় নির্মাণ করছে।
অথচ এই খাল বন্ধ হয়ে গেলে মজলিশপুর গ্রাম ও বন্দের বাড়ীর কয়েক হাজার মানুষের পয়নিস্কাসন বন্ধ হয়ে যাবে।
ইতিমধ্যে পানি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মজলিশপুর গ্রামের একমাত্র খেলার মাঠের উপর দিয়ে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হওয়ায় মাঠ ভেঙে গেছে।
এ ব্যাপারে মজলিশপুর গ্রামের সর্দার মোঃ আনোয়ারুল হক জানান,খাল দখলকারী নূর মামদ গংরা খুনখারাবির সাথে জড়িত। এদের দখলের কারণে মাঠ ভেঙে সেখানে খেলাধুলা ও মৃতের জানাযা পড়ানো যায়না। আমরা এলাকাবাসী এর প্রতিকার চাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ অভিযোগের সত্যতা জানিয়ে বলেন, আমরা খাল উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।