এস.এম জামাল উদ্দিন শামীম,ময়মনসিংহ,দৈনিক শিরোমণিঃ বৈশ্বিক মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন ধরে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে সরকার। কিন্তু এবার অবিলম্বে হল-ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে শিক্ষাকার্যক্রম স্বাভাবিক করার দাবিতে আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ডাকে আজ বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘চির উন্নত মম শির’ ফলকের পাদদেশে এই মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া, স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো ১৫-২০ দিনের সময় দিয়ে নিয়ে নেয়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণী কার্যক্রম চালু সহ আরও বেশ কিছু দাবি নিয়ে তারা এ মানববন্ধনে অংশ নেয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান,সব কিছু চালু থাকতে পারে কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে কেন এমন তামাশা।বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা এখন হাসির পাত্র, কারণ যেখানে একজন কোম্পানিতে চাকরি করা লোকটি স্বাস্থ্য সচেতনতা বোঝে ,তাই কোম্পানি খোলা । আর আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেও স্বাস্থ্য সচেতনতা বুঝিনা ! আমাদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা ও শ্রেণী কার্যক্রম শুরু হোক। আমাদের যে সময় নষ্ট হচ্ছে এর জন্য তো চাকরির বয়সও বাড়বে না। এছাড়া অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম কোন সুফল বয়ে আনছে না বলেও দাবি করেন শিক্ষার্থীরা । এই বিষয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. উজ্জল কুমার বলেন , “একজন শিক্ষক হিসেবে আমি মনে করি যে, এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া উচিত । অনেক দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ । এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে । আমি শিক্ষার্থীদের মনের কষ্টগুলো বুঝি ।” আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলো নিয়ে মাননীয় উপাচার্য ড. এ এইচ এম মুস্তাফিজুর রহমানের সাথে দেখা করতে গেলে তিনি বলেন, ” আমি শিক্ষার্থীদের আজকের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি । এই বিষয়ে আমি উপর মহলের সাথে কথা বলবো ।” উল্লেখ্য; আজ সারাদেশেই মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সকল জেলা-উপজেলার এবং কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকাল ১১টায় একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। ‘অবিলম্বে সকল বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে হবে’ ফেসবুক গ্রুপের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি আহ্বান করা হয়েছে।