এস এম শাহাদৎ হোসাইন গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: এক সময়ে নুন আন্তে পান্তা ফুরানোর মত অবস্থা ছিল আবু তালেব মিয়ার। দরিদ্রের কষাঘাত থেকে রেহাই পেতে শুরু করে হাঁসের খামার। অল্প কয়েক মাসের মধ্যেই সেই খামার ঘুরিয়েছে তার ভাগ্যের চাকা। এখন আর নুন-পান্তা নয়, আবু তালেব মিয়ার পরিবার নিয়ে খাচ্ছে মাছ-মাংস-ডিম ভাত। গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বৈরিহরিণমাড়ী গ্রামে দরিদ্র পরিবারের সন্তান আবু তালেব মিয়া। দা¤পত্য জীবনে স্ত্রী-সন্তান রয়েছে তার। সংসার চালাতে অনেক হিমশিম খেতে হচ্ছিল। ৬ মাস আগে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে খাকি ক্যাম্বেল জাতের ৫০০টি হাঁসের বাচ্ছা ক্রয় করে নিয়ে এসে বাড়িতে শুরু করে খামার। এসব হাঁস বর্তমানে প্রতিদিন ২০০টি করে করে ডিম দিচ্ছে। এরপর থেকে আর কখনো পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। উৎপাদিত ডিম বিক্রয়ের লাভের টাকা দিয়েই চলছে তার সংসার। আবু তালেব মিয়া বলেন, প্রশিক্ষণ ছাড়াই হাঁসের খামার গড়ে তুলেছেন তিনি। কঠোর পরিশ্রম আর দৃঢ় মনোবল নিয়ে খামারটি পরিচালনা করে চলেছেন। বর্তমানে হাঁসের খাবার, ঔষধ ও অন্যান্য খরচ বাদে মাসে প্রায় ২০ হাজার টাকা লাভ হয়। পলাশবাড়ী উপজেলা প্রাণিস¤পদ বিভাগের উপ সহকারী কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, যে কোন কাজ পরিকল্পিভাবে করলে অবশ্যই সফল হওয়া সম্ভব। উদ্যোক্তা আবু তালেব মিয়ার খামারে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।