ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: শ্বসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসান ঘটেছে। উচ্চ আদালতের রায়ে নৌকার প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন আওয়ামলীগের মেয়র প্রার্থী আব্দুল খালেক। রায়ের ফলে স্বস্তি ফিরে এসছে নৌকার শিবিরে। বুধবার দুপুরে উচ্চ আদালতের রায়ে নির্বাচন কমিশনের আদেশ এক মাসের জন্য স্থগিত করেন। ফলে ভোটে প্রতিদ্বন্দিতা করতে আর বাঁধা থাকলো না ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে সরকারী দলীয় মেয়র প্রার্থী আব্দুল খালেকের। আদালতের রায়ের পর তিনি ভি চিহ্ন প্রদর্শন করে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বলে সাংবাদিকদের জানান। বুধবার (৮ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজি জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ। এর আগে মঙ্গলবার (৭ জুন) হাইকোর্টের একই বেঞ্চে ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আব্দুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না সেটি জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়। আর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য বুধবার দিন ঠিক করেন আদালত। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে এদিন রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক ও এমএস সাঈদ আহমেদ রাজা। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ খান। ইসির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিজলের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফিদা এম কামাল, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মুরাদ রেজা ও অ্যাডভোকেট এবিএম ইলিয়াস কচি। এসময় নির্বাচন কমিশনের ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার ড. মোহাম্মদ ইয়াসিন খান উপস্থিত ছিলেন। উল্লখ্য গত ২ জুন নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আব্দুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন প্রশাসন) মোঃ মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করার পর নৌকার শিবিরে হতাশা নেমে আসে। বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত প্রচার প্রচারণা। উল্লেখ্য, ১৫ জুন ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আওয়ামলীগের মেয়র প্রার্থী আব্দুল খালেক, স্বতন্ত্র কাইয়ুৃম শাহারিয়ার জাহেদী হিজল, আ’লীগ থেকে বহিস্কৃত মিজানুর রহমান মাসুম এবং ইসলামী অন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. সিরাজুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।