১০ অক্টোম্বর সোমবার আটককৃত দুুুই ডাকাত সদস্যের বিরুদ্ধে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হলে, আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠায়।
ঘটনার সূত্র মতে জানাযায়, ৯ অক্টোবর রবিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জুবায়ের সৈয়দের দিক-নির্দেশনায় কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া রেল ক্রসিং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। এ সময় একটি পিকআপ (মিনি ট্রাক) থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ দুই ডাকাত সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে । আটককৃত ডাকাত মো. রুমন বেপারী সুমন ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সাহেবগঞ্জ গ্রামের হাজী কমর উদ্দিন বেপারী বাড়ির জাহাঙ্গীর আলম বেপারীর ছেলে। বর্তমানে সে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানার উপজেলা সদর বসবাস করে। আটক অপর ডাকাত মো. বেলাল হোসেন নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার রফিকপুর বাইন্যা বাড়ির মো. রুহুল আমিনের ছেলে। বর্তমানে সে একই জেলার সেনবাগ থানার ছ’মুন্সীর বাজার এলাকায় বসবাস করে।
অভিযান পরিচালনা করেন হাজীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার (উপ-পরিদর্শক) মোস্তাক আহমেদ, উপ-পরিদর্শক মিছবাহুল আলম চৌধুরী, সুবল চন্দ্র সিংহ, সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. রেজাউল করিম, ধীমান বড়ুয়া, নাজমুল হাছান, মো. ফয়েজসহ সঙ্গীয় ফোর্স।
হাজীগঞ্জ থানা সূত্রে আরো জানাযায়, ১টা ২০ মিনিটে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া রেল ক্রসিং এলাকায় যখন চেকপোস্টে অভিযান পরিচালনা করে আসছিল হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল। এ সময় একটি পিকআপ গাড়িকে সন্দেহ হলে পুলিশ থামার জন্য সংকেত দিলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৩/৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন করে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ডাকাতদল। পরে পুলিশের বাধায় ডাকাতবাহী পিকআপটি অপর একটি ড্রাম ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এ সময় পুলিশ ডাকাত দলের সদস্য মো. রুমন বেপারী সুমন ও মো. বেলাল হোসেন আটক করতে সক্ষম হয় এবং দলে থাকা আর ৫ থেকে ৭ জন ডাকাত পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ স্থানীয় ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে পিকআপ থেকে ১টি লোহা ও তালা কাটার একটি কাটার, ৪ টি ধারালো হাসুয়া (কাঁচি/ছুরি)সহ পিকআপটি জব্দ করে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে আটককৃতদের আদালাতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ এবং পলাতকদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।