বদরুদ্দিন আজমল আরও বলেন, ‘হিন্দু পুরুষেরা ৪০ বছর পর বাপ-মায়ের চাপে বা কোথাও ফেঁসে গিয়ে বিবাহ করে। কিন্তু সন্তানের জন্ম দেয় না; যে কারণে তাদের জন্মহার বাড়ে না।’ এসব কথা বলেই থেমে যাননি আজমল। বলেছেন, ‘হিন্দুদের উচিত মুসলমানদের কাছ থেকে শেখা, কীভাবে অধিক সন্তানের জন্ম দিতে হয়।’আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সম্প্রতি গুজরাটে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিবাহ বা ‘লাভ জিহাদের’ বিরুদ্ধে কথা বলেন। সেই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়েই এসব কথা বলেন বদরুদ্দিন আজমল।তবে কংগ্রেস মনে করছে, বিজেপি বদরুদ্দিন আজমলকে ব্যবহার করছে। বিজেপি তাঁকে দিয়ে এ ধরনের মন্তব্য করিয়েছে; যাতে নির্বাচনে হিন্দুদের ভোট পেতে সুবিধা হয়।
কংগ্রসের এমন ধারনার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন আসাম জাতীয় পরিষদের সভাপতি লুবিন গগই। তিনি বলেছেন, আজমল আসলে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন।আসাম বিজেপির এমএলএ দিগন্ত কলিতা বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায় কোনো অবস্থাতেই এ ধরনের অপমানজনক কথা মেনে নেবে না। এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ আজমলকে সংযত থাকতেও বলেন দিগন্ত কলিতা। বলেন, ‘যদি সংযত থাকতে না পারেন, তাহলে অবিলম্বে বাংলাদেশে চলে যান। এটা ভগবান রাম ও সীতার দেশ। এখানে বাংলাদেশিদের কোনো জায়গা নেই। আপনি একজন মুসলিম। আমরা আপনার কাছ থেকে উপদেশ শুনতে রাজি নই।’