বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে ২০২৬ সালে। এর আগে ভর্তুকির বিষয়ে বড় ধরনের সংস্কারে হাত দেওয়া মুশকিল।আইএমএফের কাছে গত জুলাইয়ে ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। ঋণের আকার ৪৫০ কোটি ডলার। শর্ত নিয়ে আলোচনা চলছে।চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ ৮২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। এর বেশির ভাগই জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের জন্য।সরকারি ১০ সংস্থার লোকসান ৫ হাজার কোটি টাকা। এগুলোকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ আইএমএফের।প্রায় তিন মাস আগে সরকার নিজেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) তাই এ ব্যাপারে আর কিছু বলেনি। তবে সংস্থাটি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের ভর্তুকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সংস্কার চেয়েছে।সংস্কারের মানে হচ্ছে ভর্তুকি কমানো। সংস্থাটি এ ব্যাপারে সরকারের কাছে সময়বদ্ধ পরিকল্পনা চেয়েছে। এ ছাড়া লোকসানি বড় বড় যেসব সংস্থাকে ভর্তুকি দিয়ে চালিয়ে রাখা হয়, সেগুলোকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে।সংস্থাটির এশীয় ও প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বাধীন একটি দল গত ২৬ অক্টোবর থেকে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করছে। তারই ধারাবাহিকতায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সঙ্গে গতকাল সোমবার তিনটি আলাদা বৈঠক করেছে আইএমএফের দল। সেসব বৈঠকেই ভর্তুকি কমানোসহ আইএমএফের চাওয়াগুলো উঠে এসেছে। বৈঠক সূত্রে এসব কথা জানা গেছে।