দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট :বৈশ্বিক মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃত মুদ্রা নয় ভারতীয় রুপি। আবার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রয়েছে বড় ধরনের বাণিজ্যঘাটতি। ফলে রুপিতে লেনদেনে বাংলাদেশ কোনো ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে কি না—এমন প্রশ্নও রয়েছে। প্রক্রিয়াটি শুরু হলে পণ্য বাণিজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। ভ্রমণ, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও ব্যবহার হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ১৯ জুন মুদ্রানীতি প্রকাশের সময় বলেই দিয়েছেন, টাকার পাশাপাশি রুপিতে ব্যবহার করা যাবে, পে কার্ড নামে এমন একটি ডেবিট কার্ড নিয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশিরা ভারতে ঘুরতে গিয়ে এ কার্ড দিয়ে লেনদেন করবেন এবং কার্ডটি চালু হলে বাংলাদেশিদের ডলার খরচ কমবে। গভর্নরের মতে, কেউ ভারতে গেলে ভ্রমণকারীর ১২ হাজার ডলারের যে ভ্রমণ কোটা আছে, সে পরিমাণ অর্থ তিনি রুপিতে কেনাকাটা করতে পারবেন।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ভারত একটি বড় অর্থনীতির দেশ। এত বড় অর্থনীতির দেশের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে ঝুঁকির বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে। তবে এটা ঠিক, ২০০ কোটি ডলার রপ্তানির সমপরিমাণ ভারতীয় রুপি দিয়ে বাণিজ্য শুরু হতেই পারে।
কী নিয়ে সতর্কতা জরুরি—এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এক কথায় মুদ্রা বিনিময় হার নিয়ে। এ দিক থেকে বাংলাদেশ যেন ক্ষতির ভাগিদার না হয়। তিনি বলেন, এক দিক থেকে ইতিবাচক যে রুপিতে লেনদেন শুরুর মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যে বৈচিত্র আসছে।