ভারতের ১১টি শহরে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ‘কোভ্যাক্সিন’ পাঠিয়ে দিল ভারত বায়োটেক। দেশটির হায়দরাবাদের এই সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারকে ১৬.৫ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন দান করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ৫৫ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিনের বরাত দেওয়া হয়। এরপরেই গুয়াহাটি, পটনা, দিল্লি, কুরুক্ষেত্র, বেঙ্গালুরু, পুণে, ভুবনেশ্বর, জয়পুর, চেন্নাই, লখনউয়ে কোভ্যাক্সিন পাঠানো হয়েছে।
ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি একমাত্র ভ্যাকসিন হল ‘কোভ্যাক্সিন’। এই ভ্যাকসিন সারা দেশে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বছরের শুরুতেই কোভিশিল্ড ও ‘কোভ্যাক্সিন’-এর জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া। শনিবার দেশে শুরু হবে করোনার টিকাকরণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, টিকাকরণের বিষয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। শনিবার থেকে টিকাকরণ শুরু করার বিষয়ে সবাই প্রস্তুত।
এদিকে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার যত ভ্যাকসিনের বরাত দিয়েছিল, তার ৯০ শতাংশই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ১০.৯৯ মিলিয়ন ডোজ ‘কোভিশিল্ড’ ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন শহরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর মাত্র ৯০,০০০ ডোজ পাঠানো বাকি। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সেগুলি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সিরামের কাছ থেকে ১১ মিলিয়ন ডোজ ‘কোভিশিল্ড’-এর বরাত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতি ডোজের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০ টাকা করে।
পৌষের শেষে লহরি, মকর সংক্রান্তি, পোঙ্গল, বিহুর মতো উৎসব। উৎসব শেষেই হবে টিকাকরণ। কিন্তু কীভাবে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন? কারা পাবেন অগ্রাধিকার? ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথমে ভ্যাকসিন পাবেন প্রায় ৩ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৭ কোটি মানুষকে দেওয়া হবে ভ্যাকিসন। ভ্যাকসিন পাবেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা। এরপর ৫০ বছরের নীচে যাদের কোমর্বিডিটি আছে, এমন মানুষদের টিকা দেওয়া হবে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]