শেখ মনিরুজ্জামান মনু, কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি: খুলনার কয়রা উপজেলায় সুন্দরবনে অবৈধভাবে শিকার করা হরিণের ১৩০ কেজি মাংস উদ্ধার করেছেন কোস্টগার্ড ও বন বিভাগের কোবাদক ফরেস্ট স্টেশনের বনরীরা। আজ সোমবার ভোরের আলো ফোঁটার আগে সুন্দরবন-সংলগ্ন খুলনার কয়রা উপজেলার জোড়শিং এলাকার যৌথ অভিযান চালিয়ে এসব মাংস উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি, মাংস ফেলে পালিয়ে যায় চোরা শিকারিরা। বন বিভাগের খাঁশিটানা টহল ফাঁড়ির বনরী ছানা রঞ্জন পাল বলেন, 'গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা আগেই খবর পেয়েছিলাম সুন্দরবন থেকে চোরা শিকারিরা হরিণ শিকার করে মাংস নিয়ে লোকালয়ে ফিরছে। এরপর কোস্টগার্ডের সঙ্গে যৌথ অভিযানে নেমে সুন্দরবনসংলগ্ন জোড়শিং এলাকার নদীর চরের কাছাকাছি পৌঁছানোর আগেই শিকারিরা পালিয়ে যান। এ কারণে কাউকে আটক করতে পারিনি। পরে নদীর চরে পড়ে থাকা চারটি বস্তায় ১৩০ কেজি হরিণের মাংস পেয়েছি।' বন বিভাগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবন–সংলগ্ন কয়রায় ৩০টির বেশি চোরা শিকারি চক্র ফাঁদ পেতে হরিণ নিধন করে। গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত শুধু কয়রা থেকে ২৯৪ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে গত বুধবার (১২ মার্চ) হরিণের ২৫ কেজি মাংস ও ৮০টি শিকারের ফাঁদসহ কয়রার পাঁচ হরিণ শিকারিকে গ্রেপ্তার করে কোস্টগার্ড। চোরা শিকার বন্ধে বন বিভাগের পদেেপর বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা সুন্দরবনে হরিণ শিকারি ও লোকালয়ে হরিণের মাংস ক্রেতাদের তালিকা তৈরি করছি।এদের দ্রত আইনের আওতায় আনা হবে। তাছাড়া শিকারে জড়িত ব্যক্তিদের তথ্যদাতাকেও পুরস্কার দিচ্ছি। হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : rural.shiromoni@gmail.com, info@shiromoni.com
Notifications